তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ বিশ্বনাথে ঘোড়ার পায়ে আঘাতের অভিযোগে ৫জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার বিশ্বনাথ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের পুত্র ফারুক মিয়া। মামলা নং- ৯।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের আপ্তাব আলীর পুত্র আনহার আলী (৩৫), আহমদ আলী (২২), একই গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর পুত্র বাবু মিয়া (৩৮), মৃত সফর আলীর পুত্র আলী হোসেন (৩০) ও আপ্তাব আলীর পুত্র খোকন মিয়া (১৯)। এঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহারে বাদি উলে¬খ করেন, অভিযুক্তদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদীগণ বাদির বিভিন্ন ক্ষতি সাধন সহ অত্যাচার নির্যাতন করে আসছেন। গত ১৪ জুন রাতে বাদি তার গৃহপালিত ঘোড়াকে খাবার খাওাচ্ছিলেন। এসময় বিবাদীরা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদির বাড়িতে প্রবেশ করে তার উপর হামলা চালায়। তখন অভিযুক্ত আহমদ আলী তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বাদির উপর ছেদ মারলে তিনি আত্মরক্ষার্থে একটু সরে গেলে উক্ত ছেদটি ঘোড়ার পায়ে পড়ে মারাত্মক জখন হয়। এছাড়া বাদীর শরিরেও নিলা-ফুলা জখম হয়। এরপর আসামীরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আনহার আলী সাংবাদিকদের বলেন, হিংসার বসর্তী হেয় আমাদের উপর সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাদির সাথে আমাদের দীর্ঘ দিন ধরে বিরুধ চলে আসলে। তাই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। সঠিকভাবে পুলিশ তদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এব্যাপারে দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে এই মামলাটি হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) গৌর চন্দ্র মজুমদার বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।