চরম মানবতার দৃষ্টান্ত স্তাপন করলেন সেবুল
তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ জ্ঞান থাকতে দেখি বড় বিপদ হচ্ছে। এরপর মুহুর্তেই কি ঘটল। বলতে পারি না। গাড়ি দূর্ঘটনার পূর্বে মনে হয়েছে আজ শেষ। দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিতে হবে আমাকে। রাস্তার পাশে (খাদে) গাড়ি। গাড়ি থেকে অন্তত ১২-১৩ হাত দূরে একেক জন। জ্ঞান নেই কারো। সব অজ্ঞান। শুধু জ্ঞান ছিল টিপু’র। সে জ্ঞান ছাড়া চারজনের অবস্থা দেখে সেও পাগল প্রায়। টিপু কি করবে। মাথায় কিছু আসছে না তাঁর। রাস্তার পাশ দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে একের পর এক। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসতে চায় না। গাড়ি থেকে দেখে সবাই চলে যায়। পিকআপ ভ্যান চালক। সিলেট যাওয়ার পথে আমাদের অবস্থা দেখে গাড়ি থামায়। বেরিয়ে পড়ে গাড়ি থেকে। টিপুর পাশে দাড়িয়ে এক এক করে তাঁর পিকআপ ভ্যানে লাশের মত তুলে আমাদের। এই মহান ও চরম মানবতাবাধির নাম মো. সেবুল মিয়া। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার লহরী গ্রামের মৃতঃ ময়না মিয়া ছেলে। এরপর নিয়ে যায় ওসমানী হাসপাতালে। ভর্তি করে সবাই কে। এসব কথাগুলো বলেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. রফিকুল হোসেন। তিনি বলেন, এ কেই বলে চরম মানবতা। তিনি আবেগাপ্লুতু হয়ে বলেন, সে না থাকলে হয়তো বাঁচা কঠিন হয়ে যেত। তার এ সহযোগিতা আর মানবতায় আমাদের নতুন জীবন ফিরে পেলাম।