সার্জারি চলাকালীনই OT-তে বেহুঁশ ডাক্তার-নার্স, অতঃপর…
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মস্ত ফাঁড়া কাটল মদন লালের জীবনে। সাধারণ অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে শেষমেশ প্রাণটাই খোয়াতে বসেছিলেন তিনি। তবে শেষরক্ষা করলেন ডক্টর খালসা।
মঙ্গলবার কলকাতার অমৃতসরের গুরু নানক হাসপাতাল সাক্ষী থাকল এক অভিনব ঘটনার। এদিন সকাল সওয়া দশটার সময় হার্নিয়া অপারেশন করতে ওটি-তে নিয়ে আসা হয় মদন লাল নামে এক রোগীকে। এক মহিলা চিকিত্সক তাঁকে বেঁহুশ করার ইনজেকশন দেন। ঠিক সময় রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে সাড়ে দশটায় অস্ত্রোপচার শুরু করেন শল্যচিকিত্সক ডক্টর খালসা ও তাঁর সহকারিরা।
কিন্তু মিনিট ২০ পরই শুরু হয় বিপত্তি। মাথা ঘোরা আর গা-বমি ভাব দেখা দেয় অ্যানেস্থটিস্টের। মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয় আরেক মহিলা চিকিত্সককে। এর কিছুক্ষণ পর সার্জারির মাঝামাঝি মাথা ঘুরে মেঝেয় লুটিয়ে পড়েন তিনিও। অসুস্থ হয়ে সাময়িক আচ্ছন্ন হন খালসা স্বয়ং। তবে কিছুক্ষণ পরই নিজেকে সামলে নিয়ে ফের অপারেশন শুরু করেন তিনি। তবে জ্ঞান ফেরে না সহকারির।
অস্ত্রোপচারের শেষ ভাগে রোগীর ক্ষত বন্ধ করার জন্য সেলাই শুরু করেন ডক্টর খালসা। তাঁকে সাহায্যকারী নার্স এবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে একা হাতেই সব কিছু সামলাতে হয় খালসাকে। প্রবল মনের জোর এবং ইচ্ছাশক্তি একত্র করে সফল ভাবে অপারেশন শেষ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, রোগীর জ্ঞান ফিরে আসার পর আরও এক ঘণ্টা হাসপাতালে অপেক্ষা করার পরই তিনি বিদায় নেন।
কিন্তু কী কারণে একের পর এক চিকিত্সক এ ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেন?
জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই ওটি-র বাতানুকূল যন্ত্রটি কাজ করছে না। দশ দিন আগেও প্লাস্টিক সার্জারি করতে গিয়ে এক চিকিত্সক অজ্ঞান হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। তবু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি কর্তৃপক্ষ। মদন লাল বরাতজোরে বেঁচে ফেরার পর তাঁদের টনক নড়ে কি না, সেটাই এখন দেখার।