ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ী জাকির ঢাকায় উদ্ধার
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে নিখোঁজের ১২দিনের মাথায় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন চৌধুরীকে ঢাকা গাবতলী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে উদ্ধারের পর এখন সিলেটে নিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। রবিবার দুপুর পৌণে ১টার দিকে গাবতলী বাস স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে জানা গেছে। জাকির উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোগলাবাজার থানার ওসি মো. মোরছালিন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দারুস সালাম থানা পুলিশের সহযোগিতায় বেলা ১টায় যশোর থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
জাকির হোসেন মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কানিশাইল গ্রামের মাহমুদ হোসেন চৌধুরীর ছেলে। তিনি সিলেট নগরীর রায়নগর দপ্তরীপাড়া ৮৯/১ নম্বর বাসায় বসবাস করেন। সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারে তার ব্যবসা রয়েছে।
অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের পর জাকির ‘নিখোঁজ’ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অপহৃত হয়েছিলেন না স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অভিযানে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নুরুল আমিন বলেন, তাকে দারুস সালাম থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে উদ্ধারে পর ব্যবসায়ী জাকির হোসেন অপহৃত না স্বেচ্ছায় আত্নগোপন করেছিলেন সে সম্পর্কে মুখ খুলেননি। রাতেই তাকে সিলেট নিয়ে আসা হবে।পুলিশ বলছে জাকিরকে সিলেট এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রহস্য উন্মোচিত হবে।
জাকির ঋণগ্রস্থ হয়ে পাওনাদারদের হাত থেকে মুক্তি পেতে ‘নিখোঁজ’ নাটক সাজিয়েছিলেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়- জাকির সিলেট থেকে প্রথমে চট্টগ্রাম যান, সেখান থেকে ঢাকায় ফিরেন। এরপর ঢাকা থেকে যশোর যান। বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে তিনি আবারও ঢাকায় ফিরেন। ঢাকায় ফেরার পরই মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে গাবতলী বাস স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মল্লিক আহসান সামি।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে ফেঞ্চুগঞ্জে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১টায় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ফেঞ্চুগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় তার চাচা সুহিন চৌধুরীর কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে সিলেট শহরে আসছিলেন। বেলা ২টায় জাকিরের চাচা সুহিন চৌধুরী তার মোবাইলে ফোন করলে তিনি মোগলাবাজার থানাধীন পারাইরচক এলাকা অতিক্রম করেছেন বলে জানান। এরপর থেকে তিনি ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন দাবি করে পরদিন ২২ মে সুহিন চৌধুরী মোগলাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।