শহীদ জিয়ার আদর্শই আমাদের প্রেরণার উৎস

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৩৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আলোচনা সভায় বক্তারা

advocate nurul hoqueশহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৩৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা বিএনপির ২ দিনের কর্মসূচির শেষ দিনে গতকাল শনিবার বিকাল ৩টায় স্থানীয় শহীদ সোলেমান হল-এ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ২৫ মার্চ ৭১, স্বাধীনতার ঘোষনা এলোনা, তাজউদ্দীন সাহেব রাতে ব্যর্থমনরথে ফিরে এলেন। পাকহানারা রাতে নির্বিচারে গণহত্যা চালালো। দিশেহারা জাতির কোন দিক নির্দেশনা নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৎকালীন মেজর জিয়া চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিকামী বাংলার মানুষের কাছে মুক্তির দূত হিসেবে ঘোষনা করলেন বাংলার স্বাধীনতার ঘোষনা। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে শহীদ জিয়া সম্মুখ সমরেও লড়াই চালিয়েছেন পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে। মা-মাটি ও মানুষের ঋণ শোধ করতেই যেন তার স্বরূপে আবির্ভাব। ভীরু কাপুরুষের মত আত্মসমর্পন কিংবা পলায়ন করেননি। নিজের জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছেন- যুদ্ধ করেছেন। জাতিকে দিয়েছেন স্বাধীনতা।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট এম নুরুল হকের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে প্রফেসর ড. কামাল আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশ ও জাতির এই দুর্দীনে শহীদ জিয়ার মত একজন আদর্শিক নেতা প্রয়োজন। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের Arif Bhaiজনগণকে মর্যাদাশীল হতে শিখিয়েছেন। মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর বন্দী গণতন্ত্রকে মুক্ত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ভারতের সাথে পানি চুক্তি করে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে জাপানকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে নির্বাচিত করেছিলেন। সেই নেতার দল বিএনপিকে আবারো শহীদ জিয়ার দেখিয়ে দেয়া পথে অগ্রসর হতে হবে। তার মাধ্যমেই আবারো মুক্তি আসবে।
আলোচনা সভার অন্যতম আলোচক প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন বাংলার আকাশে এক ধূমকেতুর মত। যিনি তার নিজস্ব আলোয় আলোকিত করে জাতির পরিচয়, জাতি সত্ত্বা, অর্থনৈতিক মুক্তি, সর্বোপরি দেশের জনগণের আশা আকাঙ্খার বাস্তব প্রতিফলন তিনি ঘটিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি সঞ্জিব রেড্ডির বক্তব্য থেকেই প্রমাণ হয় শহীদ জিয়াই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি নতুন প্রজন্মকে শহীদ জিয়ার দেখিয়ে দেওয়া পথে দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে ইস্পাত কঠিন শপথ নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এবং জাতির ভবিষ্যৎ অগ্রদূত তারেক রহমানের পরিকল্পনায় এদেশের গণতন্ত্রকে আবারো মুক্ত করে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট এম নুরুল হক বলেন, জাতির বিভিন্ন অন্ধকার মূহুর্তে যেভাবে শহীদ জিয়াউর রহমান আলোক বর্তিকা হয়ে জাতির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন, ঠিক সেভাবে আগামী দিনের বর্তমান স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শহীদ জিয়ার সেই আদর্শকেই বুকে লালন করে বর্তমান অন্ধকারময় অবস্থা থেকে দেশ এবং জাতিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, সিলেটের মাটি ও মানুষের নেতা, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জননেতা এম ইলিয়াস আলী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের এক লড়াকু যোদ্ধা। বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার যখন একের পর এক বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে তুলেছিলো এম ইলিয়াস আলী সিলেটের কোটি মানুষের সমর্থন নিয়ে টিপাইমুখ বিরোধী দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। নেতৃবৃন্দ এম ইলিয়াস আলী এবং মুজিবুর রহমান মুজিব, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ ও আনসার আলী সহ গুম হওয়া সকল নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে সন্ধান দাবী করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দিলদার হোসেন সেলিম, এডভোকেট আব্দুল গফফার, আবুল কাহের শামীম, আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামী ঐক্যজোটের নায়েবে আমীর এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, আলী আহমদ, প্রকৌশলী ড. ইকবাল, আশফাক আহমদ, ড. মোঃ মোজাম্মেল হক, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মিসবাউল কদির ফাহিম, এডভোকেট শামীম সিদ্দিকী, সুরমান আলী, মামুনুর রশীদ, কামরুল হাসান শাহীন, আব্দুল আহাদ খান জামাল, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটওয়ারী রিটন, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আহমদ চৌধুরী ফয়েজ, আবুল কাশেম।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব কুনু মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, আব্দুস সহিদ চেয়ারম্যান, আজমল আলী, এ কে এম তারেক কালাম, রাজু তালুকদার, তাজরুল ইসলাম তাজুল, গোলাম কিবরিয়া শাহীন, হেলালউজ্জামান, জিল্লুর রহমান সুয়েব, আখতার হোসেন মিন্টু, সৈয়দ শাফেক মাহবুব, সোয়াদ রব চৌধুরী, শামীম হেলালী, আব্দুস সহিদ, রায়হান আহমদ, শাহজাহান সেলিম বুলবুল, মাছুম আলম, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, আব্দুল মজিদ, লোকমান আহমদ, শাহেদ আহমদ চমন, কোহিনুর আহমদ, কামরুজ্জামান দিপু, তানভীর আহমদ, আলাউদ্দিন সওদাগর, মহিলা দল নেত্রী হাফসাউল হক হুসনা, রহিমা খানম, জাহেদ আহমদ, আব্দুল হাশিম জাকারিয়া, হোসেন আহমদ, লিটন আহমদ, হানুর ইসলাম ইমন, মকসুদ আহমদ, আসাদুল হক, আব্দুর রউফ, আব্দুল মালেক, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, ওহিদ তালুকদার, রেজাউল করিম রেজা, ইখতিয়ার হোসেন আরাফাত, মোস্তফা রেজওয়ান, দিদার আহমদ, সেলিম চৌধুরী, শাহজাহান মিয়া, রাসেল আহমদ, খোকন আহমদ, আফতাব উদ্দিন, লোকমান আহমদ, শিহাব খান, আলী আকবর রাজন, সুহেল ইবনে রাজা, আজিজুর রহমান, দিলদার হোসেন শামীম, রফিকুল ইসলাম, জুনেদ আহমদ, আইয়ুব আলী সজিব, জাহেদ আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি