ওসি বাবুলের তক্ষক ভক্ষন : পুলিশ প্রশাসনসহ নগরীতে তোলপাড়
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ কোতোয়ালি থানার ওসির পেটে এবার তক্ষক। মূল্যবান এই প্রাণীটি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনসহ নগরীতে তোলপাড় চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে পুলিশের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে বিলুপ্ত প্রায় এই প্রাণীটি বহু টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বাবুল। আর টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
পুলিশ সূত্র জানায় বৃহস্পতিবার দুপুরে পাচারকারীদের নিকট থেকে বিলুপ্ত প্রায় একটি তক্ষক প্রাণী উদ্ধার করে পুলিশের একটি টহল টিম। এসময় তক্ষকের সাথে ১জন পাচারকারীকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এসএমপি পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো.রহমত উল্লাহ তক্ষকটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। রহমত উল্লাহ কোতোয়ালি থানা থেকে চলে যাওয়ার পর কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বাবুল তক্ষক পাচারকারীদের ডেকে এনে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তক্ষকটি তাদের কাছে বিক্রি করে দেন। আর ঘটনার স্বাক্ষী না রাখতে আটক পাচারকারীকেও ছেড়ে দেন ওসি।
এঘটনায় কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও তক্ষক উদ্ধারকারী পুলিশের একজন উপ পরিদর্শক এর প্রতিবাদ করলে তাকে ধমক দিয়ে সব কাজে নাক না গলাতে নিষেধ করেন ওসি।
এ বিষয়ে এসএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ জানান, প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে তক্ষকটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তরের জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু ওসি জানিয়েছে তক্ষকটি হারিয়ে গেছে।
কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি নন। বিষয়টি নিয়ে ওসির সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বাবুল বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন তক্ষক তাঁর থানার অভ্যন্তরেই যায়নি। কাউকে আটক কিংবা মোট অংকের টাকার বিনিময়ে তক্ষক বিক্রির বিষয়টিও তিনি বেমালুম অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, তক্ষকের চামড়া খুবই মূল্যবান। তক্ষক দিয়ে যৌন উত্তেজক নান রকমের ওষধ তৈরি করা হয়। দির্ঘদিন ধরে একটি চক্র সিলেট সুনামগঞ্জ মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বন বিভাগের বনাঞ্চল থেকে তক্ষক আটক করে কোটি কোটি টাকার পাচার করে আসছে।