গভীর রাতে শামীম ওসমানের গ্রেপ্তারের গুজবে তুলকালাম : আওয়ামী ক্যাডারদের মহড়া

shamim osmanসুরমা টাইমস ডেস্কঃ ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত সাড়ে ১২টা। চারদিক থেকে শত শত নেতা-কর্মী আর ক্যাডাররা ভীড় করছিলেন শহরের প্রাণ কেন্দ্র চাষাড়া গোল চত্বরে। ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো কয়েক হাজারে। সবাই নিশ্চুপ থাকলেও ক্ষুব্ধ অনেকের হাতেই ছিল লাঠি-সোটা। চাষাঢ়া গোল চত্বর ছাপিয়ে মানুষের ভীড় তখন চাষাড়া হীরা মহল পর্যন্ত।
জানা গেল, রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই কে বা কারা গুজব ছড়িয়ে দেয় যে শামীম ওসমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর তাতেই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংসদ নারায়নগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের গ্রেপ্তারের গুজবে হঠাৎ করেই পাল্টে গিয়েছিল রাতের নারায়ণগঞ্জ। এসময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা শুনতে পেয়েছি আমাদের এমপি শামীম ওসমানকে কে বা কারা গ্রেপ্তার করেছে। আবার এক সময় খবর পাই তাকে গ্রেপ্তার করতে ঢাকা থেকে বিশাল ফোর্স আসছে। এরপর আরেক এলাকার নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে শুনতে পাই যে, নজরুলকে হত্যাকারীরা শামীম ওসমানকে হত্যা করতে আসছে। এসব গুজব তাৎক্ষণিকভাবে সত্যতা যাচাই করতে না পেরে ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দরসহ আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা চাষাড়া এলাকায় এসেছি।
নেতা-কর্মীরা জানান, এর আগেও ২০০৬ সালে শামীম ওসমানকে গ্রেপ্তার করতে এলে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী রাত জেগে তাকে পাহারা দিয়েছিল। এদিকে ঘটনার সত্যতা জানতে সরজমিনে শামীম ওসমানের পৈতৃক বাড়ি হীরা মহলে গিয়ে দেখা গেল হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা ঘিরে রেখেছেন শামীম ওসমানকে। বিষয়টি আসলে কি জানতে চাইলে শামীম ওসমান জানান, হঠাৎ করেই শুনতে পাই হাজার হাজার নেতা-কর্মী আমার পৈতৃক বাড়ি হীরা মহলসহ চাষাড়া এলাকায় জরো হচ্ছেন। এছাড়া আমার মোবাইল ফোনেও অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করছিলেন যে আমি গ্রেপ্তার হয়েছি কিনা। আমি খবর পেয়েই নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করতে ঢাকায় যাত্রা করেও অর্ধেক রাস্তা থেকে ফেরত আসি। আসলে কোন দুষ্ট মহল হয়তো গুজবটি ছড়িয়ে দিয়েছে। হয়তোবা প্রথমবার গুজব ছড়িয়ে পরের বার ঠিকই আমাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করা হচ্ছে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান এবং সদর মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের। তারা জানান, বিষয়টি পুরোপুরি গুজব। এমন কোন ঘটনাই আমাদের জানা নেই।