নবীগঞ্জের আউশকান্দি র, প উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের নির্বাচন জন বিক্ষোভের মূখে স্থগিত

প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবীতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম

4নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের গর্ভনিং বডির নির্বাচনে তফশীলে অনিয়ম নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে এলাকার শত শত জনতা। ছাত্র/অভিভাবক ও এলাকার সহস্রাধিক জনতা সকাল থেকে উক্ত প্রতিষ্টানে জড়ো হতে থাকেন। তবে নিবার্চন না হয়ে ঘটে গেল এক তুলকালাম কান্ড। যারা ভোট দিতে এসেছিলেন সবাই দলে দলে জড়িত হয়ে উল্টো প্রিজাইটিং অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করে এসময় নির্বাচন বন্ধের জন্য ও প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবী করেন। নুরেজা বেগম নামের এক অভিভাবক সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি পদে প্রার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গর্ভনিং বডির সভাপতি সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নির্বাচন স্থগিত করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমানের অপসারন দাবী করে তার কার্যালয় ঘেরাও করে প্রায় ৩ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে ছাত্র/জনতা মিলে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল আউশকান্দি বাজার প্রদক্ষিন করে যাত্রী ছাউনীর সামনে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, হাজী সানুর আলম, হাজী আতাউর রহমান, মুহিবুর রহমান হারুন, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুরর্শেদ আহমদ, সাধারন সম্পাদক জাহান চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক এম এ মুকিত, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর নুর, ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, উপজেলা জাতীয় পাটির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মুরাদ আহমদ, নাজমুল হক চৌধুরী পলাশ, ছাত্রদল নেতা শিহাব আহমদ, রকি পারভেজ, লিটন মিয়া, জসিম উদ্দিন প্রমূখ সভায় প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবী করে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় বিক্ষোভকারীরা। এদিকে স্কুলে প্রিজাইটিং অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করে ছাত্র/জনতা বিক্ষোভ প্রকাশ করলে তাৎক্ষনিক ভাবে এক সভা অনুষ্টিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, গর্ভনিং বডির সভাপতি সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, সাবেক সভাপতি হাজী আতাউর রহমান, সমাজ সেবক মুহিবুর রহমান হারুন, সাংবাদিক এম এ আহমদ আজাদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনার নজরুল ইসলাম, হাজী শাহনুর আলম, প্রার্থীদের মধ্যে ফজলু মিয়া, তোফাজ্জুল হক, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল হাকিম। এলাকার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মহশিন আহমদ, আব্দুল হামিদ নিকছন, নুরুল হোসেন খাঁন, কনর মিয়া, আব্দুস সালাম, সাংবাদিক সরওয়ার শিকদার, সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমন, সাংবাদিক বুলবুল আহমদ, কাছন মিয়া, আব্দুল আহাদ, সৈয়দ আনহার আলী, শেখ সালাম, কাজী আব্দুল বাছিত, শাহ আশরাফ আলী, খালেদ আহমদ জজ, সওকত মিয়া প্রমূখ। উত্তেজিত জনতার চাপের মূখে প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান তার স্ত্রীকে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি নিযুক্ত করায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে। এতে জনতা সাময়িক ভাবে আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও অনুষ্টিতব্য নির্বাচন বাতিল করা হয়। অপরদিকে গতকাল সকালে সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী নুরেজা বেগম লিখিত অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেন। এতে উল্লেখ করা হয় উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান অনিয়মের মাধ্যমে তার স্ত্রীকে মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধি করা হয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, উক্ত নিাচনের কোন তফশীল পত্রিকায় প্রকাশ না করে এবং নোটিশ বোর্ডে কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে গোপন ভাবে প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমানের অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে তার স্ত্রী চৌধুরী শামীমা রহমান কে সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি পদে নিয়োগ দেন। উক্ত শামিমা রহমান নিয়ম অনুযায়ী উক্ত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না, কারণ তার ছেলে আতিকুর রহমান উক্ত প্রতিষ্টানের দশম শ্রেনীর ছাত্র। গভনিং বডির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দশম শ্রেনীর ছাত্র/ছাত্রীর অভিভাবক প্রার্থী হতে পারেন না। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান হওয়ায় এ অনিয়ম করেছেন। অভিযোগ করেছেন অপর সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি পদে প্রার্থী সিট ফরিদ পুর গ্রামের নুরেজা বেগম। তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন তিনি একজন প্রার্থী হিসাবে প্রধান শিক্ষকের কাছে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করতে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন এ পদে নির্বাচন হবে না। উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান তার ছাত্র আতিকুর রহমান ভর্তি সময় নিজেই অভিভাবক ছিলেন। ইদানিং অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে তার স্ত্রী চৌধুরী শামীমা রহমান কে ভোটার করে গোপনে সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি পদে একমাত্র প্রার্থী দেখিয়ে নির্বাচিত করেছেন। প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান তার স্ত্রী চৌধুরী শামীমা রহমান কে সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি করাতে তিনি পরবর্তী সময়ে স্কুলের কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করে নানা অনিয়ম করার উদ্দেশ্য রয়েছে। অভিযোগকারী আরো বলেন উক্ত তফশীল বাতিল করে নতুন তফশিল অনুযায়ী নির্বাচন হলে তার মতো আরো অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিবেন। তাই উক্ত নির্বাচন স্থগিত করার জন্য তিনি আবেদন করেন। গোপনে প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান তার স্ত্রী চৌধুরী শামীমা রহমান কে সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি করা কে কেন্দ্র করে ভোটার ও প্রার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের পাশাপাশি এক পর্যায়ে তীব্রতর আন্দোলনের রূপ নেয়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরোদ্ধে ও তার অপসারন দাবী করে নানা শ্লোগান দেয় অভিভাবক, ছাত্র, শিক্ষানুরাগী সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজারও জনতা। এ পর্যায়ে আন্দোলনকারী অনেক ছাত্ররা বিদ্যালয়ের ভিতরে অনশন শুরু করলে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে অনশন ভাঙ্গানো হয়।