ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে চান মেয়র
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে টুলটিকরে নিমার্ণাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্মান কাজের ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ২০০৭ সালে প্ল্যান্ট নির্মান কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বিগত সপ্তাহে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিস্ট মন্ত্রনালয় বরাবরে ডি.ও (Demi Official Letter) লেটার দেন তিনি।
নির্মানকাজের ধীরগতিতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মেয়র ডিও লেটারে উল্লেখ করেন, এত বছর পরও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মান কাজ শেষ না হওয়া সিলেট নগরবাসীকে হতাশ করেছে। এর নেপথ্যে অসচ্ছতা ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে তিনি আহবান জানান। ডিও লেটারের প্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিস্টদের টনক নড়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মানাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ দেখতে টুলটিকরে যান সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরিদর্শনকালে তিনি কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। এসময় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হানিফ জানান, ‘মেয়র মহোদয় কর্তৃক মন্ত্রনালয়কে অবহিত করার কারণে কাজের ক্ষেত্রে গতি এসেছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করে এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। যার প্রেক্ষিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মেঘনা ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ শাহজাহান ২০১৪ সালের ২৮ জুনের মধ্যে ২০এমএলডি ক্ষমতাসম্পন্ন সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার অঙ্গীকারনামা করেন। লিখিত এই অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: নুরুজ্জামান ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোতাহার হোসেন। অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করা হয়, ২৮ জুনের মধ্যে কাজ সর্বোতভাবে সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মানাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ দেখতে টুলটিকরে যান সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরিদর্শনকালে তিনি কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। এসময় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হানিফ জানান, ‘মেয়র কর্তৃক মন্ত্রনালয়কে অবহিত করার কারণে কাজের ক্ষেত্রে গতি এসেছে। এই গতিতে কাজ চললে তিনি জুনের শেষদিকে প্ল্যান্টের কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
এই ব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘জলাবদ্ধতার পর সিলেটবাসীর জন্য আরেকটি দুশ্চিন্তার নাম হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। বর্তমানে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ার কারণে পানি সংকট এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি যথাসময়ে চালু হলে এই সংকট অনেকটাই কেটে যেত। কিন্তু নির্মানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালীর কারণে প্ল্যান্ট যথাসময়ে চালু হচ্ছে না।’
কিছুদিন পর রমজান মাস আসছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘রমজান মাসে পানির চাহিদা আরও বেড়ে যাবে। সেজন্য সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আরও ৭টি ডিপ টিউবওয়েল জরুরী ভিত্তিতে স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
উল্লেখ্য, টুলটিকরে প্রায় ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট চালু হলে প্রতিদিন ২ কোটি ৮০ লাখ লিটার পানি নগরীজুড়ে সরবরাহ করা যাবে।