এবার ৪২ বছরের জন্য বিতাড়িত করা হবে

Khaledaসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ আওয়ামী লীগকে ঝেটিয়ে ২১ নয় এবার ৪২ বছরের জন্য বিদায় করা হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, একবার আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এবার তাদেরকে ৪২ বছরও ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। কারণ আওয়ামী লীগকে ঝেটিয়ে ৪২ বছরের জন্য ক্ষমতা থেকে বিতারিত করা হবে।
আ.লীগকে এবার ৪২ বছরের জন্য বিতাড়িত করা হবে। বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘গুম, বিচার বর্হিভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের প্রতিবাদ জনসভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেন, কুকুরে কামড় দিলে যেমন জলাতঙ্ক রোগ হয়। আর জলাতঙ্ক রোগি পানি দেখলে যেমন ভয় পায় তেমনি আওয়ামী লীগ জনগণ দেখলে ভয় পায়। কারণ আওয়ামী লীগ জনাতঙ্ক রোগে ভুগছেন।
বেগম জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে বলেছেন আপনি দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আমার সরকারও দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসিনা মিথ্যাচার করেছেন। মোদি জনগণের ভাটে নির্বাচিত হয়েছেন কিন্তু হাসিনা হয়নি। এই সব মিথ্যাচার বন্ধ করতে হবে। আবারও র‌্যাবের বিলুপ্তির দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, র‌্যাব গঠন করা হয়েছিল সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের জন্য। আমাদের আমলে র‌্যাব কাউকে গুলি করে হত্যা করেনি। এই সরকার র‌্যাবকে পঁচিয়ে ফিলেছে, নষ্ট করে দিয়েছে। এখন আর সংস্কার করলে হবে না, র‌্যাবকে বিলুপ্ত করতে হবে। র‌্যাব সন্ত্রাসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বেগম জিয়া।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, র‌্যাব বিলুপ্ত করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের জন্য নতুন একটি বাহিনী গঠন করতে হবে। এবং এর জন্য আলাদা একটি নীতিমালা প্রনয়ন করতে হবে। যাতে তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে না পড়ে। নারায়াণগঞ্জের ৭ খুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঘটনার সময় হাসিনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর তাই তাকে জবাবদিহিতা করতে হবে। এবং খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
গোপালগঞ্জের লোকদের প্রশাসনে প্রবেশ করিয়ে পুলিশ বাহিনীকে সরকার নষ্ট করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, অনেকে আইন অনুযারি কাজ করতে চাইলেও এই গোপালগঞ্জের লোকদের জন্য পারছে না। সব চোরকে এমপি- মন্ত্রী করে রাখা হয়েছে। তাদের নীতি শুধু খাই-খাই আর চাই-চাই বলে মন্তব্য করেন বেগম জিয়া। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এর আগে রক্ষীবাহিনী গঠন করে মানুষ হত্যা করেছে। আর এবার র‌্যাব দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। সুতরাং র‌্যাব এখন রক্ষীবাহিনীতে পরিনত হয়েছে। সুতরাং এদেরে বিরোধীতা করতে হবে।
তিনি বলেন, এরশাদ একজন খুনি। সে মানুষ হত্যা করেছেন। আর সে জন্য তার চিবার করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, বিএনপির অনেক কেঁদেছে আর নয়। এবার আওয়ামী লীগ কাঁদতে হবে কারণ তারা অনেক অপরাধ করেছে যা ক্ষমার যোগ্য নয়। জনগণের কাছে আওয়ামী লীগকে আসতে হবে এবং পা ধরে কাঁদতে ও ক্ষমতা চাইতে হবে। বেগম জিয়া দাবি করেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কোন সুষ্টু নির্বাচন হয়নি এবং হবেও না। নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করতে হবে। তার জন্য আন্দোলন করতে হবে। খুব শ্রীঘ্রই আমরা সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য রাজপথে নামবো এবং সেই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অনিবার্য।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাই’এর সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, যুব দলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, আসাদুজ্জামান রিপন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, গণ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সানাউল্লাহ মিয়া, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্র দলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।