নওগাঁয় কুফরী কালামের অলৌকিক আগুনে ভীত গ্রামবাসী !
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার চাকরাইল গ্রামে অলৌকিক অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এখন পরিবারের সদস্যদের চোখে শুধুই কান্না আর কান্না। কোনো কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না আগুন। সবাই যেন নির্বাক। কীভাবে হচ্ছে! কে করছে? ধরা ছোয়ার বাইরে।
ভুক্তভোগী পরিবারের নারী, পুরুষ, ছেলে, মেয়ে সবাই যেন বাড়িঘর পাহারা দিয়ে রয়েছে। কখন, কোথায় যেন আগুন জ্বলে উঠে তা নিভাতে সবাইকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। কয়েকটি পরিবারের বাড়িঘর আর কোনো কাপড় নেই বললেই চলে।
বিছানা, সোফাসেটসহ সমস্ত কাপড়ের আংশিক কিংবা অর্ধেক পুড়ে গেছে। সেই কাপড়গুলো বাইরে ফেলে রাখতে দেখা গেছে। কিছু কাপড় ভাল রয়েছে তা পুড়ে যাওয়ার ভয়ে পানির ভেতর ডুবিয়ে রাখা হয়েছে।
মহাদেবপুরের কালনা গ্রাম থেকে জামাই আইয়ুব হোসেন অগ্নিকা- দেখার উদ্দেশে শ্বশুর বাড়িতে এসে শার্ট খুলে ঘরে রেখে বাইরে আসার সঙ্গে সঙ্গে শার্টে আগুনে পুড়ে যায়। জামাই এখন খালি গায়ে শ্বশুর বাড়িতে রয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার কমপক্ষে ৩০ বার বিভিন্নস্থানে আগুন জ্বলে ওঠে। এ প্রতিবেদক উপস্থিত থাকতেই মুকুলের ঘরের আলনায় রাখা শিশু সন্তানের কাঁথায় আগুন জ্বলে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে ওঠা আগুন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়।
অলৌকিক অগ্নিকাণ্ডে যে কয়েকটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে তারা হলেন মো. সহরাব হোসেন, মো. শাহানাজ, মো. মকুল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান এবং উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের এসও রুকুনুজ্জামান। তারা সবাই জানায়, তিন মাস আগে থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। গত কয়েকদিন থেকে এ সমস্যা জটিলতর হয়ে দেখা দিয়েছে।
ইতিপূর্বে ছুড়ে মারা ভাঙ্গা মূর্তির গায়ে যে লেখা ছিল ভয়, হাসি ও কান্না। সে আলোকে অদৃশ্য শক্তি কখনও কাঁদে, কখনও খিটখিট করে হাসে আবার কখনও কারো মুখের সামনে হাউ করে উঠে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। কিন্তু কাউকে দেখা যায় না। বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীসহ সবাই আতংকিত।
অনেকেই জানায়, যে সকল ইট পাটকেল ছুড়ে মারা হয়। তার গায়ে যে লেখা থাকে তা কাচা হাতে লেখা সাদা কাগজে হুমকি, ধামকী, ভয়ভীতির কথা লিখে ইটের গায়ে লাগানো থাকে। যে কথাগুলো লেখা থাকে তা দেখে ধারণা করা হয় এটা পারিবারিক দ্বন্দের জের। কেউ হয়তো বা কুফরী করে এসব চালনা করছে।
বিষয়টি জানার বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সোবহান ও থানার ওসি মো. আজিজুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদের সামনেও আগুন জ্বলে উঠে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো নওগাঁ জেলা প্রশাসকসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।