ভারতে ৪০ শিক্ষার্থীর যৌন নিপীড়ক শিক্ষক গ্রেপ্তার!

jahangiri_school_molestation_protestsসুরমা টাইমস ইন্টারন্যাশনালঃ শিক্ষক, যাদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। সেই শিক্ষকই যখন নৈতিকতার সব পর্যায়কে অতিক্রম করে বসে, তখন সত্যিই অবাক হতে হয়। ১২-১৩ বছরের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এসব শিক্ষকের মনোরঞ্জনের খোরাকে পরিণত হয়। ভারতের দিল্লির এক সরকারি স্কুলের পিতৃতুল্য এক শিক্ষকের হাতে যৌন হয়রাণির শিকার হয়েছে ওই স্কুলেরই ৪০ শিক্ষার্থী।
দিল্লির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের ঐ স্কুল শিক্ষককে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার সকালে। বৃহস্পতিবার যৌন নির্যাতনের শিকার এক শিক্ষার্থী তার মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন।
ওই অভিভাবক সকালে স্কুলে আসলে অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও তার কাছে ছুটে আসেন এবং নির্যাতনের বর্ণনা দেন। পরে ওই অভিভাবক পুলিশকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রাম জীভান গোয়াল (৫৮)। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ওই বিদ্যালয়ে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছেন। দিল্লির দক্ষিণপূর্বাঞ্চল জোনের পুলিশ কমিশনার পি কারুণাকারণ গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে একই স্কুলের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল শাখাতেও একইধরনের ঘটনা ঘটেছে। ওই স্কুলের ৩৫ বছর বয়স্ক গানের শিক্ষক পাঁচ শিক্ষার্থীর উপর যৌন নির্যাতন চালায়। যাদের প্রত্যেকের বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।
ওই স্কুলে কর্মরত এক ব্যক্তি সাম্প্রতিক যৌন নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, স্কুলের ভাইস-প্রিন্সিপালের কাছে শিক্ষার্থীরা ৬মে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। তবে প্রিন্সিপাল বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ না হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে চিঠি ইস্যু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক এই ঘটনার জন্য লজ্জিত হয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এখানেই থেমে থাকেননি। তারা বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানান। শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেট সাত শিক্ষার্থীর বয়ান শোনেন এবং সেগুলো রেকর্ড করা হয়। ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বয়ান নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের থেকে লিখিত অভিযোগও নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
দশর্ক্ষাথীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘গোয়াল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন সংবেদনশীল জায়গায় স্পর্শ করতো এবং তাদেও অশ্লীল গল্প শোনাতো। এমনকি তাদের হাত ধরে অসৎ উদ্দেশে ওপরের দিকে তুলে ধরতেন। এমনকি শিক্ষার্থীদেও বেশি নম্বর দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এসব অশ্লীল গল্প শোনানো হতো। মেয়েরা এত রাজি না না হলে তাদের নানাভাবে ভয় দেখানো হতো।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে আপাতত গোয়ালকে দুসপ্তাহের পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।