শাল্লা সদর হাসপাতালে ৯ বছর ধরে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ বন্ধ

লোকে জানে না, সেবাও পায় না

বিপ্লব রায় শাল্লা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ভাটি অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকার শাল্লা হাসপাতালের এক্সরে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ ৯ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। কতৃপক্ষ রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের দেয়ালে আইনি জটিলতার এক্সরে ফিল্ম সরবরাহ না থাকায় আগত রোগীদের এক্সরে করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এক্সরে মেশিনের সেবা সম্পর্কে মানুষের ধারনা না থাকায় এই সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন। কোনো রকম প্রচার না থাকায় উপজেলা তো বটেই, প্রত্যন্ত এলাকার লোকজনের কাছে এই সেবা কার্যক্রমটি অজানাই রয়ে গেছে। জানা যায়, ২০০৫ সালের মে মাসে সরকার ভাটি অঞ্চলের মানুষের জন্য এক্সরে মেশিনের কার্যক্রম চালু করেন। এই হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত দরিদ্র রোগী চিকিৎসার জন্য এসে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, শাল্লার হাওর বেষ্টিত মুমুর্ষ ও দরিদ্র রোগীরা সাধারনত শাল্লা সদর হাসপাতালে এসে থাকেন। আগতদের অধিকাংশই দরিদ্র হওয়ায় বেসরকারী হাসপাতালে যেতে পারেন না। শাল্লার একমাত্র চিকিৎসা সেবার এই সরকারী হাসপাতালে এমএসআর সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ দরিদ্র রোগী বিনা চিকিৎসায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। নিয়মনুযাযী একজন মেডিকেল কর্মকর্তা এক্সরে মেশিনের মাধ্যমে জনগনের চিকিৎসা সেবায় থাকার কথা । এক্সরে মেশিনটি গুরুত্বপুর্ন স্থানে রাখার জন্য সরকারী নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রচার প্রদর্শনে উদ্যোগী না থাকায় এক্সরে মেশিনটি অযতেœ অবহেলায় পড়ে আছে হাসপাতালের বাহিরে। জনসেবায় নয়, মুলত জনসেবা থেকে বঞ্চিত থাকার জন্য হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই গুরুত্বপুর্ন মেশিনটি চিকিৎসা সেবায় ব্যবহার করছে না বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, এক্সরে মেশিনটি অযতেœ অবহেলায় পড়ে আছে একটি হাসপাতালের বাহিরে। এর প্রতি খেয়াল রাখার জন্য হাসপাতালে কেউ নেই। সরজমিনে অসংখ্য মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেশীর ভাগ মানুষেরই এ সেবা সম্পর্কে ধারনা নেই। ৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কালীপদ রায় বলেন, আমি ইউনিয়ন মেম্বার হয়েও এই গুরুত্বপুর্ন চিকিৎসাসেবার কথা জানি না। সেখানে আমার ইউনিয়নের সাধারন মানুষ, বিশেষ করে এই ভাটি অঞ্চলের মানুষ জানবে কী করে? এই সেবা সম্পর্কে কোনো রকম প্রচার না থাকার কারনেই এমন অবস্থায় পড়ে আছে এক্সরে মেশিনটি। অথচ যতটুকু জানলাম, তাতে ঠিকমতো চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকলেই মানুষ খুব উপকার পেতে পারে। শাল্লা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক এডভোকেট দিপু রঞ্জন দাশ বলেন, শাল্লার প্রায় পরিবারই গরীব অবস্থায় পড়ে আছে। যার ফলে ভাটি অঞ্চলের মানুষ ৭৫ কিলোমিটার পথ পাড়ী দিয়ে এক্সরে করার জন্য সুনামগঞ্জে যেতে হয়। অথচ শাল্লা সদর হাসপাতালে এক্সরে মেশিনটি থাকার সত্তেও মানুষের কাজে আসছে না। এব্যপারে এলাকাবাসীর অভিযোগ উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষ যদি এর বিহিত ব্যবস্থা না করেন তাহলে জনগন হাসপাতাল পাড়ায় বিক্ষোভ করবে।###