টিলাগড়ে বার বার গ্রুপিং সংঘর্ষ : এলাকাবাসীর মনে আতংক

tilagor picমুহিন উদ্দিনঃ সিলেট নগরীর টিলাগড়ে ছাত্রলীগের গ্রুপিং কোন্দলের কারনে বার বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আর এর ফলে এলাকার স্হানীয় জনতার মনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল কলেজের নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নিরাপত্তায় উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি টিলাগড়, মিড়াপাড়া, টুলটিকর, মেজরটিলা, বালুচর, শিবগঞ্জ, কল্যানপুরসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজনও রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে আছেন চিন্তিত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অত্র এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, টিলাগড় হচ্ছে আমাদের ঐতিয্যবাহী একটি এলাকা। এখানে রয়েছে সিলেট বিভাগের সর্বচ্চ বিদ্যাপীঠ এম.সি কলেজ। রয়েছে সরকারী কলেজ, সিলেট কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবং বিনোদনের জন্য রয়েছে ইকো পার্ক। যার জন্য এখানে প্রতিদিন সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন। কিন্তু দু:খের বিষয় সাম্প্রতিক এসব সংঘর্ষের ফলে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনীহা বাড়ছে তেমনি অত্র এলাকায় বেড়াতে আসা লোকজনের মনে তৈরী হচ্ছে ভয়ভিতী। স্হানীয় জনসাধনের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, টিলাগড় এলাকার নাম শুনলেই এখন কেন জানি মনের ভিতর একটা অজানা ভয় ভেসে উঠে। টিলাগড় পয়েন্ট এখন আতংকের পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। ঘুটি কয়েক নেতার নেতৃত্বে এই এলাকা এখন মৃত্যুপুরী নামে পরিচিত লাভ করছে। প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, এলাকার সাধারন লোকজন চলাফেরা করেন অজানা এক ভয নিয়ে। তাদের মনে তাকে এই বুঝি একটা গুলি এসে বুকে পড়লো। জানা যায়, এই পর্যন্ত টিলাগড়ে যতবার সংঘর্ষ হয়েছে তার পিছনে রয়েছে বাবলা চৌধুরী ও আজাদুর রহমান আজাদ এবং রনজিৎ সরকার নামের গ্রুপিং কোন্দল। এই গ্রুপের কোন্দলের কারনেই টিলাগড়ের বর্তমান অশান্তি পরিস্হিতি। স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, ভয় আর অজানা আতংক নিয়ে তাদের চলাফেরা করতে হয়। মুখ বুঝে সব কিছু সয্য ও করতে হয়। কোনকিছুর প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে তাদের উপর নানা অত্যাচার। কারো কোন অভিযোগও প্রশাসন শুনছেনা। উল্টো যারা অভিযোগ করেন তাদেরকে দিতে হয় খেসারত। তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো নতুবা বাড়ীঘর ভাংচুর করা হয়। অনেক সময় দেখা যায় এসব নেতারা তাদের র্স্বাথসিদ্ধির জন্য গুটি কয়েক লোকজন জড়ো করে তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ানোর জন্য বলে। যাতে করে সবাই বুঝতে পারে তারা সম্পুর্ন নিস্পাপ। তাদের এ গ্রুপিংএর জন্য নিরীহ ছাত্রদের দিতে হচ্ছে প্রান। লেখাপড়া করতে এসে এরা হচ্ছে বলির পাঠা। নাম প্রকাশে অনিচ্চুক কয়েকজন ছাত্র জানান, আমরা বাধ্য হয়ে এসব নোংরা রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছি। এখন “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি” আমাদের হয়েছে এমন অবস্হা। উল্লেখিত এলাকার বাসিন্দাদের একটাই দাবী। এসব কার্যকলাপ যেন তাড়াতাড়ি বন্ধ করা হয়। তা নাহলে এলাকাবাসীর ধর্যে্যর বাধ ভেঙ্গে গেলে যে কোন পরিস্হিতির জন্য এদেরকে দায়ী থাকতে হবে।