সুরাইঘাট সীমান্তে চোরাকারবারীরা বেপরোয়া : প্রতিদিন আদান-প্রদান হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্য

ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাটের সুরাইঘাট সীমান্তবর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের সিঙ্গাইর খাল এলাকা দিয়ে আশংকাজনকভাবে চোরা চালানি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্ত এলাকার একটি সংঘবদ্ধ শক্তিশালী চোরাকারবারী চক্র উক্ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রকাশ্যে দিনে ও রাতে লক্ষ লক্ষ টাকার ভারতীয়, কাচা-শুকনো সুপারি, কাঠ, নাসির বিড়ি, জিরা, কিসমিস, খাসিয়া পান, মোটর সাইকেল, মাদক দ্রব্য, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মিল্ক চকলেট, গুড়ো দুধ, ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রাংশ প্রভৃতি চোরাইপথে ভারত থেকে নিয়ে আসছে। এসব পণ্যের বিপরীতে চোরা কারবারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করছে স্বর্ণ, ডিজেল, পেট্রোল, রাসায়নিক সার, বিল্ডিং নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী, চাল ও খাবার অনুপযোগী পচা সুপারি সহ অন্যান্য মালামাল। সীমান্ত এলাকার লোকজন ও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে সিঙ্গাইর খাল এলাকা দিয়ে চোরাই পণ্য এক প্রকার প্রকাশ্যে আদান প্রদান করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে স্থানীয় সচেতন মহল সীমান্তরক্ষী বিজিবি জোওয়ানদের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে রহস্যজনক বলে জানিয়েছেন। মাঝে মধ্যে বিজিবি সদস্যরা লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে সীমান্ত এলাকায় কিছু চোরাই মালামাল উদ্ধার করলেও প্রতিদিন উক্ত এলাকা দিয়ে পিকআপ, ক্যারীকাভ ও অন্যান্য হালকা যানবাহনের মাধ্যমে চোরাই মালামাল আদান প্রদান করা হয়ে থাকে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, বিজিবি সদস্যদের গোপনে চোরাই মালামাল আদান-প্রদানের খবর দেওয়া হলেও বিজিবি জোয়ানরা সাড়া দেন না। সর্বশেষ গত বুধবার সিঙ্গাইরখাল এলাকা দিয়ে ভারতে প্রায় শতাধিক বস্তা সুপারি পাচারের খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক সীমান্তবর্তী সুরাইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডারের কাছে বিষয়টি মোবাইল ফোনে ফোনে অবহিত করেন। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের দেওয়া তথ্য মতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তিন বস্তা সুপারি আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার ভোরে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা ১৩বস্তা সুপারিসহ একটি পিকআপ এবং লেবুরতল এলাকা থেকে ভারতীয় বেশ কিছু সুন্দি কাঠ বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা আটককৃত এসব অবৈধ মালামাল এবং চোরাকারবারী সম্বন্ধে জানতে চাইলে স্থানীয় সুরাইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার নানা অজুহাত দেখিয়ে তথ্য প্রদান করতে অনীহা প্রকাশ করেন। এছাড়াও সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের দুই চোরাকারবারী সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন, এই ব্যবসা করতে গিয়ে প্রতি মাসে বিজিবি, পুলিশ ও বিভিন্ন ঘাটে প্রতি মাসে ১০লক্ষ টাকা উৎকোচ দিয়ে থাকি আমরা। আপনাদের লেখালেখিতে কিছুই হবে না। এ বিষয়টি নিয়ে সুরাইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উৎকোচ গ্রহনের বিষয়টি সত্য নয়। চোরা চালান প্রতিরোধে স্থানীয় বিজিবি জোওয়ানরা সদা তৎপর রয়েছে।