তারেক জিয়ার পথেই হাঁটছেন জয়!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিগত কয়েক সপ্তাহ থেকে আলোচনায় ছিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ওঠে। তিনি জিয়াউর রহমানকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বলেন ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী।’ তিনি দেশের স্বাধীনতা চাননি-এমন দাবিও করেন তারেক। এবার তারেকের পথেই হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জয় সকলকে শুচ্ছেছা জানিয়ে তার ফেসবুক পেজে স্টাটাস দেন। এতে তিনি দাবি করেন, ‘পহেলা বৈশাখে বোমা হামলার (রমনার বটমুলে) ঘটনাটি বিএনপি জামায়াতের আমলে ঘটেছিল।’
জয় লিখেছেন, ‘এই উৎসবের দিনে, বিএনপি জামায়াত সরকারের সময়ের পহেলা বৈশাখে বোমা হামলার শিকার লোকদের কথা আমি স্মরণ করছি। বিএনপি জামায়াতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা ধর্মের নাম করে আমাদের সংস্কৃতি মুছে দিতে চেয়েছিলো।’
প্রকৃতপক্ষে ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনাটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ঘটে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ২০০১ সালের জুনপর্যন্ত তারা ক্ষমতায় ছিল। একই বছর ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত। রমনার বটমূলে বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ৯ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় একজন। দেশে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা এটিই। এর আগে-পরে এমন ঘটনা ঘটেনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় স্টাটাসটি দিয়েছেন সোমবার সকাল ৭টার দিকে। এরপর তা সংশোধনও করা হয়নি।
জয়ের স্টাটাসটি পরিবর্তন -এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
সবাইকে শুভ নববর্ষ! আমাদের বাঙালিদের রয়েছে হাজার বছরের পুরোনো সংস্কৃতি। আমরা আমাদের মুক্তির জন্য সংগ্রাম
করেছি এবং অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা। আমরা বাঙালি জাতি এবং আজ আমাদের নববর্ষ। প্রিয় দেশবাসীকে জানাই আমার শুভে”ছা।
এই উৎসবের দিনে, বিএনপি জামায়াত সরকারের সময়ের পহেলা বৈশাখে বোমা হামলার শিকার লোকদের কথা আমি স্মরণ করছি। বিএনপি জামায়াতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা ধর্মের নাম করে আমাদের সংস্কৃতি মুছে দিতে চেয়েছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার সেটা হতে দিবে না। আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও দেশকে রক্ষায় সকল সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করবো। আমরা বিগত পাঁচ বছর আপনাদের সন্ত্রাসীদের থেকে রক্ষা করে এসেছি এবং ভবিষ্যতেও রক্ষা করেই যাবো।