সরি ভাবী আমরা অসহায় কিন্তু অকৃতজ্ঞ নই………….

Tahsina-Rushdir-Lunaশেষ হলো সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর বিপুল ভোটে বিজয় আমাদের জন্য বেদনাদায়ক হলেও অনিবার্য ছিল। তাই বাস্থবতাকে মেনে নিতে আমাদের তেমন বেগ পেতে হচ্ছেনা। বিএনপির দু-গ্রুপের ক্ষমতার দাপট দেখাতে ভোট বিপর্যয় ঘটলেও জামায়াত ঠিকই তাদের ফসল ঘরে তুলতে পেরেছে। তারা ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যানের চেয়ার অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এতে জামায়াতকে দোষারোপ না করে কৌশল শিখে নেয়া বিএনপির জন্য অপরিহার্য।
জননেতা এম ইলিয়াস আলী ভাই আমাদের পুণ্যভুমি সিলেট এর কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ এতে শুধু আমার নয় কারো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। ইলিয়াস ভাইয়ের সুযোগ্য সহধর্মিনী যে লুনা ভাবী তা বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী নির্ধারন বিজয়ী করার মাধ্যমে তার প্রমাণ দেখিয়েছেন। কিন্তু সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে লুনা ভাবীকে একটি কথা না বলে পারছিনা। ভাবী আমরা সাধারণ ভোটাররা (বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী ইসলামী মুল্যবোধে বিশ্বাসী )অসহায় হলেও অকৃতজ্ঞ নই। আপনারা তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারলেও ভোটাররা একটু সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। তাই শামীম ভাই পরাজিত হলেও আপনার নির্ধারিত প্রার্থী থেকে বেশী ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনের প্রাক্কালে হুদাকে বিএনপির একক প্রার্থী নির্ধারণ এবং নিশ্চিত বিজয়ী হওয়ার পথে প্রচারমুখী আবুল কাহের শামীম ভাইকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্তটি ছিল ভুল। ভুল অবশ্য আপনার নয় যারা আপনাকে মিসগাইড করেছেন তারা অবশ্য এর জন্য দায়ী। আর এই পরাজয় আপনার ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য একটি অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জস্বরুপ। এর মাধ্যমে সিলেটের রাজনীতিতে শমসের মুবিন চৌধুরীর ভিত আরো মজবুত হলো। কি করব ভাবী এই ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের প্রিয় ইলিয়াস ভাইকে গুম করেছে। হাজার হাজার মানুষকে খুন-গুম ও গনহত্যার নৃশংস তান্ডব চালিয়েছে। কিন্তু দেশ ও জাতির এই চরম ক্রান্তিলগ্নে আপনার এমন অদুরদর্শী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত শুধু আমার মত আপনার এক শুভাকাঙ্খি নয় হাজারো শুভাকাঙ্খিকে চরমভাবে মর্মাহত করেছে। সিলেটের রাজনীতিতে গাফ্ফার ভাই-পংকী ভাই দের যেমন প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি, তেমনী ফুরিয়ে যায়নি দিলদার সেলিম ভাই-হক ভাই-নাসিম ভাই-বদরুজ্জামান সেলিম ভাইয়ের মত নিবেদিত প্রান ব্যাক্তিদের প্রযোজনও। সুতরাং আপনী ক্ষমতা দেখাতে বহিস্কার না করে যদি সমঝোতার ভিত্তিতে একজন প্রার্থী নির্ধারন তাকে নির্বাচিত করতে পারতেন তা আপনার জন্য নতুন ইতিহাস সৃষ্টির একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারত। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে হয়তো আপনী তা বুঝতে পেরেছেন। কিন্ত তখন কারো কিছুর করার নেই। আমরা অসহায় কিন্তু অকৃতজ্ঞ নই কথাটি কেন বললাম জানেন ভাবী। এবার জনস্রোত আবুল কাহের শামীম ভাইয়ের পক্ষেই ছিল। কিন্তু নির্বাচনের সান্নিকটে এসে হুদা ভাইয়ের পক্ষে আপনার প্রচারনা কিছুটা হলেও হালে পানি পেয়েছে। যার জন্য হুদা ভাই কিছু ভোট পেয়েছেন। আপনী প্রচারনায় না নামলে হুদা ভাইকে আরো লজ্জাজনক পরিনতি বরন করতে হত।
যাই হোক এই নির্বাচন নিয়ে আপনার মত হাই-ইডুকেটেড ব্যাক্তির ভুল ধরা আমার মত একজন নগন্য শুভাকাঙ্খির এই কাজটি ছোট মুখে বড় কথার মত হয়ে যাই। শেষ পর্যায়ে বেয়াদবির জন্য মাফ চাইছি। আল্লাহ যেন ইলিয়াস ভাইকে সুস্থ অবস্থায় আমাদের মাঝে শীঘ্রই ফিরিয়ে দেন এবং আপনাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখেন এই প্রত্যাশা করছি।
লেখক:
এমজেএইচ জামিল
এলএলবি, সিলেট ল‘কলেজ।
সেক্রেটারী: আমার দেশ পাঠকমেলা সিলেট।