রোযার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

॥ মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান ॥

আদম (আ:) হতে নূহ (আ:) পর্যন্ত প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে সিয়াম ফরয ছিল। ইহুদীদের প্রতি সপ্তাহে শনিবার, বৎসরে মুহররমের ১০ তারিখে এবং মুসা (আ:) এর তুর পাহাড়ে তাওরাত পাবার পূর্বে দীর্ঘ চল্লিশ দিন একাধিকক্রমে সিয়াম পালনরত অবস্থানের স্মৃতি স্মরণে চল্লিশ দিন সিয়াম পালনের নির্দেশ আসে। ঈসা (আ:) ইঞ্জিল পাওয়ার পূর্ব দীর্ঘ চল্লিশ দিন সিয়াম পালন করেছিলেন। নিউ টেষ্টামেন্টে উল্লেখ আছে, ‘অহফ যিবহ যব (ঔবংঁং) যধফ ভধংঃবফ ভড়ৎঃু ফধুং ধহফ ভড়ৎঃু হরমযঃ, যব ধিং ধভঃবৎধিৎফ ঁহযঁমবৎবফ’ (গধঃযব-ি৪:২)। দাউদ (আ:) একদিন পর পর সিয়াম রাখতেন (বুখারী, মুসলিম)। মুসলমানদের উপর রামাদ্বান মাসের পূর্ণ এক মাস সিয়াম ফরয হয় নাবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহুও আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের দ্বিতীয় সালে।
হিন্দুস্থানের ঐতিহ্য অনেক পুরাতন বলে মনে করা হয়। প্রত্যেক হিন্দুদের প্রতিটি পূজায় ব্রতী পূজারী ও অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা নারী-পুরুষ উপবাস পালন করে থাকেন। তারা এক থেকে তিন দিন উপবাস ছাড়াও অমাবশ্যা ও পূর্ণিমা ইত্যাদি তিথিতে উপবাস করে থাকে। চান্দ্র মাসের ১১ ও ১২ তারিখ ব্রাহ্মণরা একাদমী ও দ্বাদশীর উপবাস পালন করে থাকেন। এই হিসাবে সারা বছর উপবাসের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪টি। কোন কোন ব্রাহ্মণ কার্তিক মাসের প্রতি সোমবার উপবাস পালন করে থাকেন। হিন্দুস্থানের প্রতিটি ধর্মে যেমন জৈন ধর্মের মধ্যে উপবাসের শর্তাবলী হলো কঠোর। তাদের হিসাব মতে ৪০ দিনে একটি উপবাসব্রত পালিত হয়। গুজরাট ও দাক্ষিণাত্যের জৈন্য ধর্মাবলম্বীরা আজও প্রতি বৎসর কয়েক সপ্তাহ ধরে উপবাস পালন করেন। প্রাচীণ মিশরীয়দের মাঝে এবং অন্যান্য ধর্মে আনন্দোৎসবের মত উপবাস প্রথা চালু ছিল।
গ্রীকদের মধ্যে বছরের একটি বিশেষ মাসে ক্রমাগত সাতদিন সাত রাত উপবাসের বিধান ছিল। এ ধরণের দীর্ঘ মেয়াদী উপবাস ছিল খুবই কষ্টকর এবং দুঃসহ। তাছাড়া পুরাকালে রোমান, কেল্ট, আসীরীয় ও বেবিলনীয়দের মাঝে উপবাসের বিধান চালু ছিল। জরথুস্থবাদী পারসিকগণ নানাবিধভাবে উপবাস পালন করে থাকেন। কনফুসিয়াস বিভিন্ন রকমের উপবাসের প্রথা চালু করেন। বৌদ্ধরাও বিভিন্ন ‘চীবর’ অনুষ্ঠানের উপলক্ষে উপবাস পালন করেন। পারসিকগণ এগার দিন উপবাস পালন করে থাকেন। কিন্তু অনেকে তেত্রিশ দিন আবার কেউ কেউ তিন দিন উপবাসব্রত পালন করে থাকেন। কোন কোন ধর্মে দিনে পানীয় ও ফল গ্রহণ করা উপবাস অবস্থায় বিধেয় মনে করেন। এ রকম উপবাসব্রত পালনের মধ্যে নানান ধর্মে বিভিন্ন প্রকারের হেরফের আছে। পারসিক ও ইহুদীদের কোন কোন উপবাসে পুরুষের পক্ষে নারীদের এবং নারীদের পক্ষে পুরুষদের সাক্ষাত মহাপাপ বলে মনে করা হয়। বৌদ্ধদের অনেক সময় উপবাস অবস্থায় নির্জনবাসে থাকতে হয় এবং দিনের শেষে একবার মাত্র এক মুষ্ঠি ভিক্ষার সামগ্রী সিদ্ধ করে খেতে হয়। ইসলাম ধর্মে সিয়ামে এসব কোন কিছুই নেই। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাপ্ত পর্যন্ত পানাহার ও ইন্দ্রিয় চর্চা নিষিদ্ধ এবং সার্বিকভাবে সকল দিক থেকে সংযম সাধনা করতে হয়।
আমাদের এ উপমহাদেশে ইসলামের আগমন এবং মুসলিম রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পর ইসলাম ধর্মের অনুষ্ঠানগুলো পালন হতে থাকে। আরব ও অনারব মুসলমান ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে এ দেশে আসেন। ইরানীরা তখন শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত ছিল বিধায় ইসলামী কালচারে তাদের প্রভাব ছিল বেশি। প্রকৃত পক্ষে তাদের মাধ্যমে ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ শতকে এদেশে রোযা ও ঈদ উদযাপন হতে থাকে। পরবর্তীকালে ইংরেজ শাসনের সময়কালে ইসলামী অনুষ্ঠানগুলো ততটা স্বাধীন ও উৎসাহ ব্যঞ্জন ছিল না। অপরদিকে ইসলামী কালচারে হিন্দু রীতিনীতির আধিপত্য বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আবুল মনসুর আহমদ কর্তৃক রচিত ‘আত্মকথা’ গ্রন্থে তিনি লেখেন, “তরুণদেরতো কথাই নাই বয়স্কদের সকলে রোযা রাখিত না। যাহারা রোযা রাখিত তাহারাও দিনের বেলায় পানি ও তামাক খাইত। শুধু ভাত খাওয়া হইতে বিরত থাকিত। পানি ও তামাক খাওয়াতে রোযা নষ্ট হইত না এই বিশ্বাস তাহাদের ছিল। কারণ, পানি ও তামাক খাইবার সময় তাহারা রোযাটাকে একটা চোঙ্গার মধ্যে ভরিয়া রাখিত। কায়দাটা ছিল এই, একদিকে গিরোওয়ালা মোটা বরাক বাঁশের দুই-একটা চোঙ্গা সব গৃহস্থের বাড়িতে থাকিত, আজো আছে। তাহাতে সারা বছর পুরুষরা তামাক রাখে, মেয়েরা রাখে লবণ, সজ, গরম মসলা, লাউ-কুমড়ার বীচি ইত্যাদি। রোযার মাসে মাঠে যাইবার সময় এই রকম এক একটা চোঙ্গা রোযাদাররা সঙ্গে রাখিত। পানি ও তামাকের সময় হইলে এই চোঙ্গার খোলা মুখে মুখ লাগাইয়া খুব জোরে দম ছাড়া হইত। মুখ তোলার সঙ্গে সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি গামছা, নেকড়া বা পাটের ঢিপলা দিয়া চোঙ্গার মুখ কষিয়া বন্ধ করা হইত। যাহাতে বাতাস বাহির হইয়া না আসে। তারপর আবশ্যকমত পানি ও তামাক খাইয়া চোঙ্গা আবার মুখের কাছে ধরা হইত। খুব ক্ষিপ্ত হস্তে চোঙ্গার ঢিটলাটা খুলে মুখ লাগাইয়া বা মুখে চুষিয়া চোঙ্গার বন্ধ রোযা মুখে আনা হইত এবং ঢোক গিলিয়া একেবারে পেটের মধ্যে ফেলিয়া দেওয়া হইত। খুব ধার্মিক ভাল মানুষ এইরূপ করাটা পছন্দ করিতেন না বটে কিন্তু সাধারণভাবে এই প্রথাই চালু ছিল’’। তিনি আরও লেখেন ‘‘এরও আগে দিনে ও রাতে একটানা রোযা রাখা হইত। অনেকেই দুই তিনটির বেশী করিতে পারিতেন না। ফলে মাসে এক রোযা পেটপুরে ভাত আবার দুই তিনটি রোযা এক সাথে রাখা হইত। ছোটরা তো নয়ই, এমনকি বড়রা রোযা রাখিত না। কেবলমাত্র বয়বৃদ্ধরাই এইভাবে রোযা রাখিত। মাঝে যে কয়টি রোযা ভাঙ্গা হইত তাহা ঈদের পরে একটির বদলে দুইটি করিয়া আদায় করা হইত’’।
এ দেশের ঈদের সবচেয়ে পুরনো বর্ণনা দেখা যায় মীর্জা নাখনের লেখা বাহরিস্তান গায়বী বইটিতে। আবুল মনসুর আহমদ ঈদের জামায়াতের পোশাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে “ঈদের জমাতেও লোকেরা কাছা দিয়া ধূতি পরিয়াই সমবেত হইত। নামাযের সময় কাছা খুলিতে হইত। সে কাজটাও নামাযে দাঁড়াইবার আগে তক করিত না। প্রথম প্রথম নামাযের কাতারে বসিবার পর অন্যের অগোচরে চুপি চুপি কাছা খুলিয়া নামায শেষ করিয়া কাতার হইতে উঠিবার আগেই আবার কাছা দিয়া ফেলিত’’। ঈদের দিন ঈদের সালাতের জামায়াতে যাবার পূর্বে এবং জামায়াত হতে ফিরে মুরুব্বীদের কদমবুচির রেওয়াজটা প্রকৃত পক্ষে হিন্দু সমাজের ‘প্রণাম’ প্রথা থেকে মুসলিম কালচারে প্রভাব বিস্তার করছে। ঊনিশ শতাব্দীতে এবং এর পূর্বে এদেশের অনেক গ্রামের মুসলমানগণ জানতেন না যে কিভাবে সঠিক সালাত আদায় এবং সিয়াম পালন করতে হয়। ইংরেজরা চলে যাবার পর বিংশ শতকের মাঝামাঝি রাজনৈতিক ও ভৌগলিক অবস্থা পরিবর্তনের পর ‘ঈদ’ পূর্ণ ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পায়।
রোযার প্রাথমিক ইতিহাস সম্বন্ধে সমাজ বিজ্ঞানীদের ধারণা ভিন্নরূপ। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত সমাজ বিজ্ঞানী হাবার্ট স্পেনসার (চৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ ঝড়পরড়ষড়মু) গ্রন্থে কতিপয় অসংযত ও বন্য আদিম গোত্রের প্রকৃতি ও স্বভাবের প্রতি লক্ষ্য করে অনুমান করে বলেছেন যে, রোযার শুরু হয়তো এভাবেই হয়েছিল যে আদিম যুগে মানুষ ক্ষুৎপিপাসায় জর্জরিত থাকত বিধায় তারা মনে করত আমাদের আহার্য বস্তু এভাবেই হয়তো অন্যের ভাগ্যে চলে যায় (ইনসাইকোপেডিয়া ব্রিটেনিকা ১০ম খন্ড, ১৯৪ পৃ:, একাদশ সংস্করণ)। কিন্তু তথ্যানুসন্ধানীদের দৃষ্টিতে তাঁর এই অনুমান গ্রহণীয় নয়। মুসলমান হিসেবে আমরা ঐ অংশীবাদী সমাজে সিয়াম সম্পর্কে যে সকল অনুমানসুলভ মতবাদ তা মানতে পারি না। ইনসাইকোপেডিয়া ব্রিটেনিকায় ‘রোযা’ প্রবন্ধের লেখক লিখেছেন, “এমন কোন ধর্ম আমাদের স্মরণে আসে না যার ধর্মীয় নিয়ম-নীতির মাঝে অবশ্যই উপবাসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি আরো বলেছেন, প্রকৃতই ধর্মীয় কর্মকান্ড হিসাবে উপবাস সকল ধর্মের মাঝেই বিদ্যমান আছে’’ (ঐ পৃ; ১৯৩)
আল্লাহ তা’য়ালা প্রতিটি প্রাণীদেহের জন্যে এরূপ পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন যে, প্রয়োজনানুযায়ী যদি পানাহার না মিলে তবে জীবন ধারণ কষ্টকর হয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র প্রাণী সকল তাদের আহারের সমতা বিধান করে চলে কিন্তু মানুষ সৃষ্টির সেরা এবং বুদ্ধিমান হওয়া সত্ত্বেও ক্ষুদ্র প্রাণীদের উল্টা সীমাতিক্রম করে থাকে। ফলে নিজেই বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে মানুষ আল্লাত প্রদত্ত জ্ঞান ও বুদ্ধির দ্বারা স্বীয় রোগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার নিরাপত্তামূলক চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা হিসেবে যা বলা হয়ে থাকে, তাহলো, কিছুদিন পর পর পানাহার বন্ধ করে পাকস্থলীকে খালি রেখে বিশ্রাম দেওয়া। পৃথিবীর অধিকাংশ ধর্মে পাকস্থলী খালি রাখবার বিধান আছে। প্রচলিত অর্থে এটাকে উপবাস বলে। হিন্দুরা ২৪ ঘন্টার জন্য উপবাস রাখে। তরকারি এবং আগুনে রান্না করা কোন খাদ্যদ্রব্য তারা এই সময় ভক্ষণ করে না। তবে কাঁচা দুধ, পানি, শরবত, হুক্কা বা সিগারেট ইত্যাদি পান করাতে কোন ক্ষতি মনে করে না। বর্তমান যুগের খৃষ্টান সম্প্রদায় শুধু মাছ, গোশ্ত ও অন্যান্য কয়েকটি দ্রব্য ছাড়া সবকিছুই উপবাসের সময় খেয়ে থাকেন। তেমনিভাবে ইহুদীদের মাঝেও কোন কোন খাদ্যদ্রব্য উপবাসের মধ্যেও খেতে পারে।
ইসলামে একটি পূর্ণ চান্দ্র মাস হিসেবে এক মাস সিয়াম রাখা প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ নর-নারীর উপর অবশ্য কর্তব্য করেছে। কিন্তু রুগ্ন ব্যক্তি, ভ্রমণকারী, বৃদ্ধাবস্থা, গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানকারিণীর জন্য সিয়াম রাখা ঐ সময় ফরয নয়। পরে কাযা হিসেবে আদায় করে নিতে হবে। কিন্তু যার রোগ একেবারেই সারবার কোন লক্ষণ নেই এবং বার্ধক্যজনিত কারণে সিয়াম রাখতে অপারগতা এরূপ ক্ষেত্রে একজন মিসকিনকে দু’বেলা ৩০ দিন খাওয়াতে হবে। যা আমাদের দেশে প্রচলিত ‘বদলা রোযা’ হিসেবে সকলের নিকট পরিচিত। চান্দ্র এবং সৌর বৎসরের পার্থক্যের কারণে ৩৬ বৎসরের মধ্যে সিয়াম শীত ও গ্রীষ্মকালে আবর্তিত হয়। এভাবে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি বয়সের লোকেরা উভয় ঋতুতে সিয়াম রাখবার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
আধুনিক শিক্ষিত লোকদের পক্ষ হতে একটি প্রশ্ন উঠে থাকে। তাহলো, উত্তর বা দক্ষিণ গোলার্ধ যেখানে ৬ মাস দিন এবং ৬ মাস রাত সেখানে আমাদের দেশের ন্যায় ২৪ ঘন্টার একদিন এবং সূর্যাস্ত ও সুবহে সাদিক হিসাব করা সম্ভব নয়। তাছাড়া ঐখানে সূর্যাস্ত ও সুবহে সাদিক আমাদের দেশের হিসাবে ছয় মাস পর পর। সেখানে সুবহে সাদিক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরআনের বিধানুযায়ী সিয়াম রাখা সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব। এর যুক্তিসঙ্গত উত্তরে আমরা প্রথমত, বলতে পারি যে, ইসলাম কারো ক্ষমতার বাইরে তার উপর কোন বিধান প্রয়োগ করে না। দ্বিতীয়ত, সেখানকার বাসিন্দারা নিজ নিজ কাজকর্ম, পানাহার, নিদ্রা ও জাগ্রত হবার জন্য যেভাবে সময় নির্ধারণ করে, সেভাবে সালাত ও সিয়ামের জন্যও করবে। এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “ইয়াজুজ মাজুজের সময় দিন এক বছরের ন্যায় সমান হবে’’ তখন সাহাবা (রা:) জিজ্ঞাসা করলেন, তখন কি একদিনের সালাত যথেষ্ট হবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘না, সালাতের জন্য সময় অনুমান করে নিতে হবে’’ মুসলিম। লেখকঃ শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও কলামিষ্ট।