আজ ১১ উপজেলায় আ’লীগ-বিএনপির মর্যাদার লড়াই
অহী আলম রেজাঃ সিলেট বিভাগের ১১ উপজেলায় আজ ভোট। এবারও মূল লড়াইয়ে আওয়ামীলীগ-বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। দু,দলই বিজয় ধরে রাখতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে নির্বাচনী মাঠে। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রা করতে ভোট চাইলেও বিএনপি মাঠের জনপ্রিয়তা দেখাতে মরিয়া। এদিকে আজকের নির্বাচনকে সামনে রেখে গত রাতে সিলেট সদরের খাদিম ইউনিয়নেরবিএনপি নেতা সেলিম, টুকেরবাজারে ছাত্রদল নেতা শামীমসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িতে অভিযান করেছে পুলিশ। বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, পুলিশ ইচ্ছে করে ভোটের আগের রাতে দলীয় কর্মীদের তাড়া করছে। তবে এসএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ সেই অভিযানকে পুলিশের নিয়মিত অভিযান বলে জানিয়েছেন।
সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির দুই প্রার্থী নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। নির্বাচনে বিএনপির প থেকে প্রথমদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আবুল কাহের শামীমকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে শক্ত অবস্থান নেন বিএনপি নেতা শাহ জামাল নুরুল হুদা। পরবর্তীতে শামীমকে বহিস্কার করে মনোনয়ন দেওয়া হয় নুরুল হুদাকে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে ধুম্রজাল সৃষ্টি হলেও আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী আশফাক আহমদ আছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। সর্বশেষ ইলিয়াস পত্মী মাঠে নেমে নুরুল হুদাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন বলে মনে করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াই হবে আওয়ামীলীগ বিএনপির মধ্যে। এ উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আশিক উদ্দিন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী নিজাম উদ্দিনের মধ্যেই মূল লড়াই হবে।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও শাল্লা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। শাল্লায় বিএনপির একক প্রার্থী থাকলেও আওয়ামলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে আছে বিপাকে। এ উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী গনেন্দ্র চন্দ্র দাস। আওয়ামীলীগ প্রার্থী আল আমীন চৌধুরীর নাম কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন অবনী মোহন দাস। ধর্মপাশায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুল মোতালীব খানের সাথে বিএনপি প্রার্থী মুরাদ আহমদের শক্ত প্রতিদ্ধন্ধিতা হবে।
হবিগঞ্জ জেলায় চারটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। হবিগঞ্জ সদরে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোতাস্সিরুল ইসলাম ও বিএনপি প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলালের মধ্যে প্রতিদ্ধন্ধিতা হবে। লাখাই উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম ও বিএনপি প্রার্থী এডভোকেট ছালেহ আহমদের মধ্যে লড়াই হবে। আজমিরিগঞ্জ উপজেলায় আওয়াশলিীগে রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। এ উপজেলায় আওয়াশীলীগের মূল প্রার্থী মিসবাহ উদ্দিন ও বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমানের মধ্যে প্রতিদ্ধন্ধিতা হবে।
নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পুরুষ) ৯ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন মহাজোট থেকে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী (দোয়াত-কলম), ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু (চিংড়ি মাছ), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মতাসীন দলের দুই বিদ্রুহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান (টেলিফোন), যুবলীগ নেতা ও বর্তমান (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম (ঘোড়া), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাই (আনারস), প্রবাসী কমিউনিটি লিডার মইনুল আমিন বুলবুল (টুপি), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ জিহাদী (মোটরসাইকেল), মিজানুর রহমান চৌধুরী শামীম (হেলিকপ্টার), আবদুস শহীদ সাহিদ মিয়া (কাপ-প্লেইট), প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে অবর্তীণ হয়েছেন।
মৌলভীবাজার জেলায় এবার তিনটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। কমলগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শামীম আহমেদ চৌধুরী । এ উপজেলায় দু’প্রার্থীই শক্ত অবস্থানে আছেন।
মৌলভীবাজার সদরে আওয়ামীলীগ ও বিএনপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মুহিব তালুকদার। বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল হোসেন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান, বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মছব্বির। শ্রীমঙ্গলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী রনধীর কুমার দে ,বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ফয়েজ।