ঢাকার হোটলে পাকিস্তানি অভিনেত্রী ও ক্যাপ্টেনের যৌন ভিডিও ফাঁস, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ পাকিস্তানের অভিনেত্রী, মডেল, টিভি উপস্থাপিকা মীরা ও তার কথিত স্বামী ক্যাপ্টেন নাভিদ পারভেজের রগরগে দৃশ্য সম্বলিত একটি ভিডিওতে সয়লাব ইন্টারনেট। এ কারণে পাকিস্তান সহ সর্বত্র রি রি পড়ে গেছে। মীরার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আদালতে মামলা হয়েছে। সে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আর এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের নাম। কারণ, রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ভিডিওটি ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে ধারণ করেছিলেন তারা। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন।
মীরার পুরো নাম মীরা ওরফে ইরতাজা রুবাব। পাকিস্তানের খুল্লামখুল্লা অভিনেত্রী বীনা মালিক ও মাথিরাকেও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। বীনা মালিক তো ভারতে রগরগে ভিডিও দৃশ্যে অভিনয় করে তোলপাড় করে দিয়েছেন। তা নিয়ে ভারত উপমহাদেশ সরগরম। তাকেও হার মানিয়েছেন মীরা। তিনি নাভিদের সঙ্গে অবাধ যৌনাচারে মিলিত হয়েছেন। আবার সে দৃশ্য তারা স্বেচ্ছায় ভিডিওতে ধারণ করেছেন। ধারণকৃত ভিডিও এখন অনলাইনে। এ ঘটনায় মুহাম্মদ শাবির নামে এক ব্যক্তি ২৯শে জানুয়ারি পাকিস্তানের এক আদালতে মামলা করেন। তাতে তিনি মীরাকে আদালতে সমন পাঠানোর আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ওই ভিডিও সম্পর্কে ব্যাখ্যা দাবি করেন।
লাহোরের সেশন কোর্টে ওই মামলায় মীরা ও তার স্বামী নাভিদের হাজির হওয়ার কথা ছিল গত মঙ্গলবার। কিন্তু তারা হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তাদেরকে ২৫শে মার্চ আদালতে হাজির করতে।
তবে এসব ভিডিওর যথার্থতা অস্বীকার করেছেন মীরা। তিনি বলেছেন, তার অবস্থান ও সৃষ্টিশীলতাকে নষ্ট করতে এমন ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়া হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, তিনি একটি হাসপাতাল নির্মাণ করছেন। এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ এ ঘটনা। তবে অনলাইনে ভিডিওটি ছাড়ার পর স্বামী নাভিদের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ির গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। মীরা এমন গুজব অস্বীকার করেছেন।
রিপোর্টে বলা হয়, মীরার স্বামী ক্যাপ্টেন নাভিদ পারভেজ নিউ ইয়র্ক প্রবাসী। তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। নিউ ইয়র্কে পেশায় তিনি একজন পাইলট। ইন্টারনেটে যেসব ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা গেছে তারা অবাধ যৌনাচারে মেতেছেন। কিছু কিছু মিডিয়া নাভিদের সঙ্গে নিউ ইয়র্কে গত বছরের ৩১শে অক্টোবর তার বিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছে। তার সঙ্গে এনগেজমেন্টের কথা মীরা প্রকাশ্যে বলেছিলেন। কিন্তু তাদের যে বিয়ে হয়েছে সে কথা কখনও বলেন নি। তবে এই নাভিদ আগে থেকেই বিবাহিত। তার একটি মেয়েও রয়েছে।
এ বিষয়ে পরিচালক ফয়সাল সাইফ বলেছেন, আসলে আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। তবে এ ভিডিও নিয়ে পাকিস্তানে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আমার সঙ্গে নাভিদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন মীরা। নাভিদ তো আগে থেকেই বিবাহিত। তার একটি মেয়েও আছে। তার নাম জাহরা। এখানেই শেষ নয়। মীরার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দুবাই ভিত্তিক ব্যবসায়ী আতিকুর রহমানেরও। কিন্তু আতিকুর রহমানকে ঠকিয়েছেন মীরা। তাকে তিনি ফেলে এসেছেন। তার আগে তার কাছ থেকে বাগিয়ে নিয়েছেন মূল্যবান সম্পদ।
আতিকুর রহমান বলেছেন, তিনি মীরাকে একটি বিলাসবহুল বাড়ি উপহার দিয়েছেন। এরপরে আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মীরা একটি হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। মীরা মডেলিং করেছেন পেপসি এবং লাক্স-এর মতো প্রথম সারির পণ্যের। পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে তার ভূমিকা উল্লেখ করার মতো। তিনি প্রথম ছবিতে অভিনয় করেছেন ভারতে। ওই ছবির নাম ‘কোন বনে গা মীরা পাতি’। সেখানে তিনি ১৪ জন পুরুষের মাঝ থেকে এক যুবককে বাছাই করেন বিয়ের জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি কাউকেই বিয়ে করেন না। তারপরই তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাইলট নাভিদের সঙ্গে। মীরা অভিনয় করেছেন ৪০টিরও বেশি ছবিতে। এর মধ্যে রয়েছে ‘মে একেলা হু’, ‘রাত দিন পিয়ার কারো’, ‘কাহি পিয়ার মাহি হো জায়ে’, ‘মুঝে জিন দো’, ‘দিল সে না ভুলনা’, ‘মেরি আওয়াজ শুনো’, ‘গডফাদার’, ‘হাসিনো কা মেলা’, ‘ইশক খুদা’ প্রভৃতি।