নগরীতে ঠিকাদার অপহরণ : ৩ ঘন্টার মাথায় উদ্ধার, অপহরক আটক
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর নাইওরপুল সংলগ্ন জেলরোড থেকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় রওশন আলী নামক এক ঠিকাদার ও তার সঙ্গীয় নির্মাণ শ্রমিক মোতাকাব্বির ইসলাম বেরুলকে অপহরন করে দুর্বিত্তরা। তবে অপহরণের ৩ ঘন্টার মধ্যে এক ঠিকাদার ও তার সহযোগীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া রওশন আলী নগরীর মিরাবাজার খারপাড়ার মিতালী ৮২ নং বাসার হায়দার আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ২ টার দিকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণকারীদের মূল হোতা সাগর আহমদকে (৩৭) আটক করেছে পুলিশ। সে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের তিরাশী গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় নগরীর নাইওরপুল সংলগ্ন জেলরোড থেকে তাকে দু’টি মোটরসাইকেলে ৫ অপহরণকারী ঠিকাদার রওশন আলী ও তার সঙ্গীয় নির্মাণ শ্রমিক মোতাকাব্বির ইসলাম বেরুলকে অপহরণ করা হয়।
উদ্ধারের পর রওশন আলী জানান, অপহরণকারীরা তাদেরকে নগরীর রায়নগর দর্জিবন্দ এলাকার একটি পরিত্যক্ত দোকানে আটকে রাখে। সেখান থেকে উপশহর সোনার পাড়া এলাকার আরেকটি ভবনে স্থানান্তর করে।
জনসম্মুখে সংঘটিত অপহরণের এই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় অপহরণকারীরা ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ সাগরকে আটক করেছে শুনে বেলা ২ টার দিকে তাকে সোনারপাড়া এলাকায় ছেড়ে দিলে সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার সহকারি কমিশনার (এসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, আটক সাগর নগরীর কুমারপাড়াস্থ এক্সিলেন্সী নামক একটি কাপড়ের দোকানের চৌকিদার ছিলেন। ওই দোকানের পাশে ঠিকাদার রওশন আলীর নির্মাণ সামগ্রী দেখাশুনা করতেন। সম্প্রতি তার মানিব্যাগ ও ক্রেডিট কার্ড চুরি করে নেয় সাগর।
তিনি বলেন- এই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এনআরবি ব্যাংকের বুথ থেকে তিন দফায় ৫০ হাজার টাকা স্ত্রী-সন্তানদের দিয়ে টাকা উত্তোলন করায়। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর সালিশের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াধীন থাকাবস্থায় ফেরদৌস ও ইমদাদসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঠিকাদার রওশনকে অপহরণ করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।