সিলেটে দুই ব্যবসায়ী অপহরন : থানায় ১২জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

opohoronডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটে ব্যবসায়ী অপহরন ঘটনায় দুই থানার টানাটানি ও দৌড়ঝাপের অবসান ঘটেছে। ঘটনার একসপ্তাহের মাথায় অবশেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আক্রান্ত ব্যবসায়ী আব্দুল কাদির এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, গত বৃহস্পতিবার (১৭ফেব্রুয়ারী) সিলেট নগরীর মজুমদারী এলাকা থেকে দুই ব্যবসায়ী অপহৃত হন। কোম্পানীগঞ্জ থানার কালিবাড়ির ব্যবসায়ী আব্দুল কাদির ও আব্দুল আওয়াল বাড়ি ফেরার পথে নগরীর মজুমদারী পৌছলে সিএনজি অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেল আসা দূর্বত্তরা তাদের অপহরন করে নিয়ে যায়। অমানুষিক নির্যাতন করে একাধিক স্ট্যাম্প ও কাগজে তাদের স্বাক্ষর আদায় করে অপহরকরা। পরে অস্ত্রের মূখে মদ খাইয়ে তাদের মাতাল সাজিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় দিয়ে সটকে পড়ে তারা। পরদিন সকালে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা নিয়ে আব্দুল কাদির মামলা দিতে চাইলে শুরু হয় সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার মধ্যে টানাটানি। অপহৃতরা কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে উদ্ধার হওয়ায় প্রথমে অভিযোগ কোম্পানীগঞ্জ থানায় দিলে তা গ্রহন না করে এয়ারপোর্ট থানায় দেয়ার কথা বলা হয়। বলা হয় ঘটনার শুরু এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় হওয়ায় এ ঘটনায় মামলা এয়ারপোট থানায় হবে। এ টানাটানিতে ৩দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। অবশেষে নিশ্চিত হয়েই আক্রান্তরা মঙ্গলবার রাতে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে ১২জনকে এজাহারভুক্ত করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জনকে আসামী করা হয়। আসামীরা হচ্ছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার উত্তর কালীবাড়ির সুজন,সিলেট নগরীর আখালিয়া কালীবাড়ির দিলোয়ার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দলইর গাওঁয়ের শফিক মেম্বার, সিলেট নগরীর মিরবক্সটুলার রুম্মান আহমদ হাদী, সিলেটের জালালাবাদ থানার মইয়াচরের নূরুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ থানার শিবনগরের নুর উদ্দিন, একই থানার কালীবাড়ির ফাজিল,ফজলু, আব্দুল করিম, লতুমিয়া, তাজ উদ্দিন ও সুজন আহমদ। মামলা মোকদ্দমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে অপহনর ও নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওসির নির্দেশে এয়ারপোর্ট থানার আম্বরখানা ফাড়ির ইনচার্জ এসআই ইয়াসিন অভিযোগ গ্রহন করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।