শিবিরকর্মীকে কুপিয়ে আহত : মেসে ছাত্রলীগের হামলা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীতে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন শিবিরের এককর্মী। এছাড়া শিবির নিয়ন্ত্রিত একটি মেসেও তারা হামলা চালিয়েছে। এসময় ওই মেসসহ একটি ফার্মেসি ভাঙচুর করা হয়। হামলার সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট নগরীর বালুচরে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের দাবি শিবির ক্যাডাররা হামলা করতে আসলে তারা প্রতিরোধ করেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বালুচরস্থ এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের পাশে ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী মিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় ওই রাস্তা দিয়ে তিনটি মোটর সাইকেলে ৯ জন শিবিরকর্মী হরতালের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিলেন।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাস সংলগ্ন পানি ট্যাংকির কাছে আসার পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিবির কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এসময় এক শিবিরকর্মী মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে শাহপরাণ থানা পুলিশ এসে ওই শিবিরকর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে, পুলিশ আহত শিবিরকর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। তারা মিছিল নিয়ে বালুচরস্থ রিফাত কমপ্লেক্স ও পার্শ্ববর্তী একটি ফার্মেসিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। রিফাত কমপ্লেক্সের মালিক এক জামাত নেতা ও ওই বাসায় শিবির নেতাকর্মীরা মেস করে থাকে বলে জানা গেছে। হামলার সময় ৪ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান আহমদ চৌধুরী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের কাছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় মোটর সাইকেলে এসে শিবির ক্যাডাররা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাৎক্ষনিক প্রতিরোধ করে শিবিরের এককর্মীকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন। পরে ছাত্রলীগের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা জামায়াত-শিবিরের আখড়া হিসেবে পরিচিত রিফাত কমপ্লেক্সে গিয়ে হামলা চালিয়েছেন।
রায়হান জানান- রিফাত কমপ্লেক্সে শিবির ক্যাডাররা মেস করে থাকে। সেখান থেকে বের হয়ে তারা নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায়। এখন থেকে শিবিরের নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড রুখতে ছাত্রলীগ রাজপথে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করবে।
শাহপরাণ থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান- মিছিল বের করার সময় শিবিরের এককর্মীকে ছাত্রলীগ মারধর করেছে।