টিটু নামক অপরাধীর চক্র পরিকল্পিতভাবে এখলাছুর রহমানকে অপহরণ করেছে

সিলেট জেলা প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

DSC_0013 copyস্টাফ রিপোর্টার : ‘টিটু নামক এক অপরাধী চক্র এখলাছুর রহমানকে পরিকলিপ্তভাবে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে পারে’ । মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন অপহৃত এখলাছুর রহমানের ভাই এম. সাজ্জাদুর রহমান সুজন । তিনি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মৃত শরীয়ত উল্লার ছেলে। বর্তমানে তিনি সিলেট শহরতলীর মেজর টিলা এলাকায় বসবাস করে আসছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, তারা টিটু নামক এক অপরাধীর চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। ঐ চক্র এলাকায় বিভিন্ন লোকজনকে ধোকায় ফেলে নাজেহাল সহ আর্থিকভাবে তিগ্রস্ত করে আসছে। টিটু জগন্নাথপুর থানাধীন পশ্চিম লহরী গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে। টিটুর বিরুদ্ধে বাইশ ল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী থাকলেও সে প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। টিটুর অপরাধী পরিবারের সদস্য চাচা হান্নান ডাকাতকে বিগত ১৯৮৩ ইংরেজী সালে গ্রামের লোকজন ধরে এনে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তার বাবা ময়না মিয়া’র মৃত্যুর পর গ্রামের লোকজন গ্রামের কোন কবরস্থানে তাকে দাফন করতে দেয়নি। পরবর্তীতে টিটু ধীরে ধীরে গড়ে তুলে একটি শক্তিশালী অপরাধ সিন্ডিকেট। টিটুর মদদদাতা হলেন লন্ডন প্রবাসী রানীয়া বেগম। রানীয়া এম. সাজ্জাদুর রহমান সুজনের বোন হলেও রানীয়ার সাথে তার অপর বোন আমেনা বেগমের সহায়-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে বিভিন্ন সময় সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু লন্ডন প্রবাসী রানীয়া তার টাকা ও প্রভাব-প্রতিপত্তির জোর দেখিয়ে সালিশ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে পরিবারের লোকজন আমেনা বেগমের পে অবস্থান নেন। অবস্থানের কারণে রানীয়া বেগম পরিবারের লোকজনকে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধামকি প্রদান করার পাশাপাশি সুজনের পরিবারের সদস্যদের আর্থিকভাবে তিগ্রস্ত ও অতীষ্ঠ করে তুলেন। সুজনের ভাই মোঃ এখলাছুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে রানীয়া বেগমের নির্দেশে টিটু ও তার সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে চলতি বছরের ১৬ আগষ্ঠ অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হলে আজ পর্যন্ত এখলাছুর রহমানের কোন খোঁজ-খবরও পওয়া যায়নি। সুজনের দাবী তার বোনের ইচ্ছায় টিটু তার সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র এখলাছুর রহমানকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলতে পারে। এ ঘটনায় বিগত ২৯/০৮/২০১৪ ইংরেজী তারিখে হযরত শাহপরাণ (রহ.) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং- ১২৫৬) করা হয় । পরবর্তীতে সুজন ভাইকে উদ্ধারের জন্য সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ পূর্বক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসমানীনগর থানাকে নির্দেশ দেন। থানা কর্তৃপ মামলাটি গ্রহণ করলেও আসামী গ্রেফতারে কিংবা এখলাছুর রহমানকে উদ্ধারে কোনরূপ তৎপরতা চালাচ্ছে না। এ বিষয়ে বিগত ১১/১০/২০১৪ ইংরেজী তারিখে অধিনায়ক, র‌্যাব-৯ বরাবরে এবং পরদিন ১২/১০/২০১৪ ইংরেজী তারিখে সিলেট বিভাগীয় উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক বরাবরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করলেও আজ অবধি এখলাছুর রহমানকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ কিংবা অন্যান্য সংস্থা। এখলাছুর রহমানকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তপে কামনা করেছেন এম. সাজ্জাদুর রহমান সুজন।