শাবিতে শিক্ষককে হুমকি দেয়ায় ছাত্রলীগ ক্যাডারকে বহিস্কারের সুপারিশ

shahjalal-university_937341শাবি প্রতিনিধি: শাবিতে পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পরায় ও শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করায় এক ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উক্ত শিক্ষার্থীর নাম সাফি আল রিয়াদ। সে গণিত বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের গ্র“পের কর্মী।গণিত বিভাগ সুত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় গণিত বিভাগের ২১৮ নম্বর কক্ষে চতুর্থ বর্ষের গণিত-৪২২ কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছিলো। ওই সময় এই শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনের সাহায্যে নকল করতে থাকলে পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ তাকে নকলসহ ধরে ফেলেন। এসময় রিয়াদ দায়িত্বরত শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং হুমকি ধমকি প্রদান করেন। পরে বিভাগের শিক্ষকরা এক জরুরি সভা করে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। উল্লেখ্য এটি রিয়াদের ড্রপ কোর্সের পরীক্ষা ছিলো।পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মো. আব্দুল কাদির রেদোয়ান, অপু আহমেদ, আলী হাসান, মনি রহমানসহ আরো ১৫-২০জন ছাত্রলীগ কর্মী গণিত বিভাগে গিয়ে শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের হেনস্তা করে ন্ব প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন বিভাগের শিক্ষকরা।গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম দিপু জানান, ২০০৯-১০ সেশনের সাফি আল রিয়াদ নামের এক শিক্ষার্থী চুড়ান্ত বর্ষের একটি কোর্সের পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পরে। পরে আমরা বিভাগ থেকে তার উত্তরপত্রের সাথে নকল সংযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট পাঠিয়েছি। এছাড়াও সে শিক্ষকদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরন করায় নকল করা ও শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় বিভাগীয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিষ্কারের সুপারিশও করেছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধিবিধান অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।এদিকে শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষকদের চিঠির প্রেক্ষিতে দুপুর সাড়ে ৩টায় প্রক্টরিয়াল বডির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপরাধের মাত্রা বেশী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বিশ^বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। শীঘ্রই শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।এদিকে শাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ কখনোই অন্যায় কাজ সমর্থন করে না। যদি কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় নকল করে আবার শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করবো যেনো তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যাবস্থা নয়।