বিশ্বনাথে পল্লী গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন কাল
বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির ২য় সমাবর্তনকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে স্যাটেলাইট সিটি খ্যাত প্রবাসী অধ্যূষিত বশ্বিনাথরে ঐতিহ্যবাহী রাগীবনগরকে। সমাবর্তন উপলে কামালবাজারের রাগীবনগরে বইছে আনন্দের বন্যা। পল্লীগাঁয়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও তার সমাবর্তন অত্যান্ত বিরল। আর এই বিরল কাজটি সম্ভব হয়েছে দানবীর ড. রাগীব আলীর কল্যাণে। ২০ অক্টোবর সোমবার রাগীবনগরস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসেই অনুষ্ঠিত হবে লিডিং ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন-২০১৪।
অসংখ্য সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ড. রাগীব আলীর নিজ জন্মভূমি রাগীবনগর। সেখানেই প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশের অন্যতম এবং সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি। উৎসবমুখর পরিবেশে জমকালো ও শৈল্পিক আয়োজন উপজেলাবাসীকে বিশ্ব দরবারে আরো গৌরবান্বিত করবে বলে অনেকেই মনে করছেন। রাষ্ট্রপতি ও লিডিং ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হামিদ এর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ভিসি, তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. মো. কিসমাতুল আহসান। বক্তব্য রাখবেন লিডিং ইউনিভার্সিটির বোর্ডঅব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান, বিশ্বনাথের কৃতি সন্তান ড. রাগীব আলী। কাল সোমবার দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে গ্রেজুয়েশন সম্পন্নকারী ১ হাজার ২শ ২০জন শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ, সরকারী-বেসরকারী ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।
এদিকে, সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপরে প থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিশ্বনাথের কৃতিসন্তান দানবীর ড. রাগীব আলী তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত রাগীবনগরে নিজ ভূমিতে লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করে স্থাপন করেছেন দৃষ্টান্ত। আর রাগীবনগরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করায় এলাকার মানুষ বেশ আনন্দিত। রাগীব আলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাগীব নগরসহ বিশ্বনাথের বিশিষ্ট জনেরা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে রাগীব আলীর অবদান অস্বীকার করার মতো নয়। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি যে সফল অবদান রেখে চলেছেন তার জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ।