দুই সারথির গোপন `অভিলাষ’
সুরমা টাইমস স্পোর্টসঃ ইচ্ছেটা গোপন নয়। তবে যতক্ষণ তারা মুখ ফুটে না বলছেন, ততক্ষণ গোপনই বলতে হয়। বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন সবারই থাকে। আছে সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনেরও। কিন্তু সেই স্বপ্ন সত্যি করতে তারা বারবার খেয়েছেন হোঁচট। নিজেদের সময়ে দুই ফর্মেটের বিশ্বকাপেই অনেক কাছে যেয়ে তারা ফিরেছেন শূন্য হাতে। ব্রিজটাউনে ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকেই স্বপ্ন ভাঙার দিন শুরু। সেবার গিলক্রিস্টের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ের কাছে জয়াবর্ধনেদের আশা ঢাকা পড়ে নিরাশার চাদরে। চার বছর পরের বিশ্বকাপেও ফাইনাল হয়েছে তাদের শেষ ঠিকানা। এরমাঝে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের।
পাওয়া না পাওয়ার হিসাব পেছনে ফেলে ক্রিকেট-যুদ্ধের দীর্ঘ দিনের এই দুই সারথি ঘোষণা দিয়েছেন- ‘এবার যেতে চাই’। -ট্রফি না পাওয়ার বেদনা হয়তো তাদের পোড়াচ্ছে, তবু সেই বেদনাকে তারা আড়াল করেছেন টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা দেয়ার মধ্যে দিয়ে। গত মাসেই কুমার সাঙ্গাকারা ঘোষণা করেছিলেন চলতি বিশ্বকাপই আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টিতে তার শেষ টুর্নামেন্ট। কয়েক দিন পর জয়াবধর্নেও জানান সতীর্থের মতো তিনিও একই ভাবে টি টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে চান।সময়ের পরিক্রমায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছিটকে দিয়ে আবারো ফাইনালে জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারার শ্রীলঙ্কা। বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে তৃতীয় বার। এক দিনের বিশ্বকাপসহ মোট পাঁচ বার। ওই দিনগুলোতে হয়নি। এবার হবে কি?
ক্যারিবিয়ান ক্যাপ্টেন ডারেন স্যামি কিন্তু মনে করছেন এবার পারবেন জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারা। বৃষ্টির বাগড়ায় সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যেয়ে তিনি বলেছেন, ‘এ বার সৃষ্টিকর্তাই হয়তো চান টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা শ্রীলঙ্কার হাতে উঠুক। সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনের শুধু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটেই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেও প্রচুর অবদান রয়েছে।’
‘সৃষ্টিকর্তা হয়তো চান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ নিয়ে ওরা টি টোয়েন্টিকে বিদায় জানাক।’ যোগ করেন স্যামি। স্যামির ‘সৃষ্টিকর্তা’র চাওয়া যদি সঠিক হয়, তবে সাঙ্গাদের মনের কোণে ‘যতন’ করে লালন করা স্বপ্নটাও পাবে সত্যির ছোঁয়া। ‘সৃষ্টিকর্তা’ কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের স্বপ্নকেও কিন্তু সত্যি করেছেন বিদায় বেলায়। জয়াবর্ধনে, সাঙ্গাকারার ক্ষেত্রেও ‘তিনি’ তেমনটা করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!