বড়লেখায় পুঁথিপাঠের আসর
মারুফ হাসান: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বসেছিলো পুঁথি পাঠের আসর। গতকাল মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত এই আসরে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা-বিয়ানীবাজার উপজেলার দুই চেয়ারম্যান সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বড়লেখা উপজেলার ইটাউরী গ্রামে ৭ অক্টোবর রাত ১০টায় ঐতিহ্যবাহী পুঁথিপাঠের আয়োজন করা হয়েছিলো। উৎস্য প্রকাশনির সত্ত্বাধিকারী মোস্তফা সেলিমের আয়োজনে সিলেটের বিলুপ্তপ্রায় ভাষা নাগরীতে পুঁথি পাঠের এই আসরে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এ্যাডভোকেট তবারক হোসেইন, বিশিষ্ট আর্কিটেকচার, গবেষক ও নাট্য নির্মাতা শাকুর মজিদ, কুড়ার বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আজিম উদ্দিন, সুজানগর পাথরিয়া কলেজর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবদুস সহিদ খান, বড়লেখা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, দৈনিক প্রথম আলো সিলেট প্রতিনিধি সুমন কুমার দাস, অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট’র সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান, স্থানীয় সাপ্তাহিক বড়কণ্ঠ’র নির্বাহী সম্পাদক রশিদ আহমদ খান, সংবাদ প্রতিনিধি কাজী রমিজ, দৈনিক নয়া দিগন্তের বড়লেখা প্রতিনিধি জালাল আহমদ।
এছাড়ও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাবেক সদস্য প্রভাষক বদরুল ইসলাম মনু, প্রভাষক এম এ হাসান, কবি দেলোয়ার হোসাইন, কবি সাদিকুর রহমান তাজিন, স্থপতি মামুনুর রশিদ মারুফ, সংস্কৃতি কর্মী সাইফুল ইসলামসহ ইটাউরী গ্রামের বিশিষ্ঠ মুরব্বীয়ানগণ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নাগরী ভাষায় পুঁথি পাঠ করেন স্থানীয় প্রবীণ পুঁথিপাঠক সৈয়দ মাতাবুর রহমান এবং সিলেট বেতারের পুঁথিপাঠক খোকন ফকির। উল্লেখ্য উৎস্য প্রকাশনির সত্ত্বাধিকারী মোস্তফা সেলিম প্রায় ৮ বছর ধরে সিলেটের হারিয়ে যাওয়া ভাষা ‘নাগরী’ সংরক্ষণ ও চর্চার মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।