বালাগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধূর চুল কেটে পাশবিক নির্যাতন : থানায় মামলা দায়ের
বালাগঞ্জ থেকে সংবাদাতাঃ বালাগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধূর চুল কেটে পাশবিক নির্যাতন করেছে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবার। এ বিষয়ে গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মধ্যযোগীয় এই নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন উপজেলার হাড়িয়ারগাঁও গ্রামের মস্তাব আলীর স্ত্রী রাজনা বেগম (২৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে সরেজমিনে জানা যায়, বিগত ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসের ২ তারিখ উপজেলার হাড়িয়ারগাঁও গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মস্তাব আলীর সাথে একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মৃত ছনই উল্যার কন্যা রাজনা বেগমের বিবাহ হয়। বিবাহের পর রাজনা বেগমের কাছে তার শশুর বাড়ীর লোকজন পিত্রালয় থেকে যৌতুক হিসাবে দুই দফায় ৩ লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। ১ম দফায় তাদের চাপে মস্তাব আলীর ছোট ভাইকে প্রবাসের পাঠানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। এই টাকা দেয়ার কিছূ দিন পর ২য় দফা আরও ২ লক্ষ টাকা না দিলে আরও একটি বিবাহ করিবে বলে তার স্বামী মস্তাব আলী রাজনা বেগমকে শাসায় এবং মারপিঠ করে এবং জোরপুর্বক সাদা ষ্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেয় একদিন হঠাৎ করে একটি সন্তানসহ একজন মহিলা নিয়ে মস্তাব আলী বাড়ীতে আসে। রাজনা বেগম এই মহিলার পরিচয় জানতে চাইলে সে তার ২য় স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। এই থেকে এই সংসারে দেখা দেয় অশান্তির আগুন। দিনের পর দিন রাজনা বেগমের উপর চলতে থাকে পাশবিক নির্যাতন ও যৌতুকের টাকা এনে দেয়ার প্রস্তাব। রাজনা বেগমে টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিগত ১ জুলাই রাতে মস্তাব আলী ও তার পরিবারের লোকজন একত্রিত হয়ে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় এবং চুল কেঠে ঘরে গৃহবন্দি করে রাখে। রাজনা বেগম তার পিত্রালয়ে কোন অবস্থাতেই যোগযোগ করতে না পেরে অবশেষে এজাহারে বর্ণিত স্বাক্ষীদের মাধ্যমে পিত্রালয় খবর দিলে তার আত্মীয় স্বজন এসে গ্রামের মুরব্বিয়ানদের মধ্যস্থতায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং গত ২০/০৮/২০১৪ ইং তারিখে রাজনা বেগম বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানার মামলা নং-০৫/১৪ দায়ের করে। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অকিল উদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখছি দ্রুত তদন্ত করে আসামীদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।