সিলেট মহানগর বিএনপি জরুরী বিবৃতি

সরকার দলীয় নেতাকর্মী কর্তৃক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্টের পরিনতি ভাল হবেনা
——সিলেট মহানগর বিএনপি

BNP Logoসরকার দলীয় কতিপয় অতিউৎসাহী নেতাকর্মী কর্তৃক যৌথ বাহিনীর তল্লাশীর নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে দিয়ে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দল-জাসাস ও ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ীতে হামলা, গণগ্রেফতার, গুলীবর্ষন ও নেতাকর্মীদের পরিবারের নারী-শিশু সহ নিরীহ সদস্যদের সাথে অশালীন আচরনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলায় কারান্তরীন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শমসের মুবিন চৌধুরী বীর বিক্রম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা: শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট হাবীবুর রহমান হাবীব ও মহবুব চৌধুরী সহ ২০ দলীয় জোটের সকল কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানান তারা।
গতকাল সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে সিলেট মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতার মোহে সরকার দলীয় কতিপয় অতিউৎসাহী নেতাকর্মী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর কতিপয় দলবাজ কর্মকর্তাকে ব্যবহার করে নিরীহ নেতাকর্মীদের বাসায় তল্লাশীর নামে হামলা করছেন। একের পর এক মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে যখন বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বাসাবাড়ীতে রাত কাটাতে পারছেননা। এমতাবস্থায় রাত নামলেই বিএনপি ও জোট নেতাকর্মীদের বাসাবাড়ীতে তল্লাশীর নামে পরিবারের নিরীহ নারী শিশুদের সাথে অশালীন আচরন এমনকি গুলীবর্ষনও করা হচ্ছে। ভাংচুর লুটপাট চলছে অহরহ। আর সবকিছুই হচ্ছে সরকার দলীয় কতিপয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে। এর মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সিলেটের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্প্রীতির ইতিহাসে কালেমা লেপন করেছে। এর পরিনতি কারো জন্য সুখকর হবেনা। বিএনপি তিন তিন বার এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল কিন্তু আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মীর বাসায় পুলিশবাহিনী দিয়ে হামলা, লুটপাট ও গণগ্রেফতার চালায়নি। এব্যাপারে আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতারাই ভাল বলতে পারেন। দু:খ জনক হলেও সত্য যে, এইবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে সিলেটের রাজপথে বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের রক্তে সিলেটের রাজপথ রঞ্জিত করেছে। সরকার দলীয় ঐসব অতিউৎসাহী নেতাকর্মী ও দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের ভুলে চলবেনা এই সরকারই শেষ সরকার নয়। আর আওয়ামীলীগ চিরদিন ক্ষমতায় থাকবেনা। জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সকল বেআইনী কর্মকান্ডে জড়িতদের অবশ্যই জনতার আদালতে জবাবদিহী করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে মনে রাখতে হবে এটা ফেনী, বরিশাল, নারায়নগঞ্জ কিংবা দেশের কোন শহর নয়, এটা হচ্ছে দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানীখ্যাত ওলী আউলিয়ার স্মৃতিবিজড়িত পুন্যভুমি সিলেট। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের সিলেটবাসী কোনদিন ক্ষমা করবেনা। সময় থাকতে দমনপীড়ন নীতি বাদ দিয়ে গনতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। হামলা, মামলা, গনগ্রেফতার ও তল্লাশীর নামে পুলিশী হয়রানী বন্ধ করুন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন, সিলেটের কোটি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন জননেতা এম. ইলিয়াস আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার সহ গুম হওয়া সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে অক্ষত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামীলীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশুন্য করতে যে গুম নাটকের সুচনা করেছে এর পরিনতি কখনো মঙ্গলজক হবেনা। অবিলম্বে সালাহউদ্দিন সহ সকল নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বৃহত্তর স্বার্থে চলমান হরতাল ও অবরোধ সফল করায় সিলেটবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি নেতৃবন্দ বলেন, সাময়িক ক্ষতি ও কষ্ট শিকার করে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সিলেটবাসী হরতাল ও অবরোধ সফলে যে ভুমিকা পালন করেছেন তার জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ সিলেটবাসীর নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আপনাদের সকল দাবী ধাওয়া শ্রদ্ধার সাথে মেনে নেয়া হবে।
বিবৃতি প্রদান করেন-
সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এম.এ হক, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাসিম হোসাইন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক মকসুদ আলী, সাবেক সাধারন সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট নোমান মাহমুদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির শাহীন, আজমল বখত্ সাদেক, মিফতাহ সিদ্দীকি, সিটি কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ডা: নাজমুল ইসলাম, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, সিটি কাউন্সিলার সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ওমর আশরাফ ইমন, সিটি কাউন্সিলার সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, এডভোকেট ফয়জুর রহমান জাহেদ, এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নি, আহমেদুস সামাদ, সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, আব্দুল জব্বার তুতু, মুকুল মোর্শেদ, আব্দুস সাত্তার, আলাউদ্দিন, আব্দুর রহিম।