ঈদের ছুটি শেষ হলেও শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জে দেশী বিদেশী পর্যটকদের ঢল
মধু চৌবে,শ্রীমঙ্গল থেকেঃ চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল প্রবেশ দ্বাড়ে স্বাগতম জানানোর জন্য দ্বাড়িয়ে আছে চা কন্যা এবং অশান্ত, উত্তপ্ত গরম আবহাওয়াতে পর্যটকদের শীতল ও শান্ত করছে দেশের শেষ প্রান্তের কমলগঞ্জের হামহাম।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা ছুটি শেষ হলেও গত কয়েক দিনের মধ্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল বি.টি.আর.আই, অর্পূব চা বাগান, নীলকন্ট চা সহ বিভিন্ন স্পষ্টে এবং কমলগঞ্জ উপজেলা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক ও হাম হাম জলপ্রপাতে দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নৈস্বর্গের অপরূপ এ প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখতে ছুটে এসেছিলেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার লোকজন। পর্যটকদের ভিড় সামলাতে পর্যটন সহায়ক পুলিশ ও টুরিষ্ট গাইডের সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হামহাম জলপ্রপাত ও নয়নাভিরাম মাধবপুর লেকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে পর্যটকদের মিলন মেলা বসেছিল। এছাড়া কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী, মাধবপুর লেক, দলই সীমান্তে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিস্তম্ভ¢ দেখতে পর্যটকরা ভিড় করেন।
আলাপকালে লাউয়াছড়ায় বেড়াতে আসা পর্যটক নরসিংদীর কলেজ ছাত্র আব্দুর রহমান সোহেল, গৃহবধু সাফিয়া আক্তার, নবীগঞ্জের ব্যবসায়ী মিলাদ হোসেন, সিলেটের ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজারের এম, শাহাজান, কুলাউড়ার মছব্বির আলী, কলেজ ছাত্রী হেপী বেগম জানান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের অপরূপ প্রকৃতির অপরুপ নান্দনিক দৃশ্য দেখে তারা মুগ্ধ করেছে। মাধবপুর লেকে স্বস্ত্রীক বেড়াতে আসা ঢাকার সরকারি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, এনজিও কর্মী ফারহানা ইসলাম জানান, মাধবপুর লেক এ অঞ্চলের মধ্যে খুবই চমৎকার স্থান। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদেরকে মুগ্ধ করে। মাধবপুর লেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এক অনন্তভূমি। বার বার মন ফিরে আসতে চায় স্বর্গের নিবাসে। বালাগঞ্জের স্কুল শিক্ষিকা স্বপনা রানী পাল,শ্রীমঙ্গলের গৃহবধু হালিমা চৌধুরী, তার মেয়ে সানজিদা ও বোন শান্তনা ও জান্নাত কে নিয়ে এসেছেন তিনি বলেন শ্রীমঙ্গল ও কমলগজের পর্যটন স্পটগুলো দেখে খুব ভাল লেগেছে বাড়ীর কাছে এমন অপরুপ সৌন্দর্য স্থান আছে না দেখলে জানতামনা। ব্যবসায়ী অরুপ পাল, ধন মিয়া জানান, আমরা এখানে প্রথমবারের মত এসছি। নয়ন ভিরাম মাধবপুর লেকের অপরুপ সৌন্দর্য্য সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করেছে। সরকার এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে দেশের অন্যতম একটি আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশপথের টিকেট কাউন্টারের কালেক্টার মজিদ মিয়া জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় টানা ছুটিতে লাউয়াছড়ায় টিকেট খাতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় হয়েছে ।