শমসের মোবিন চৌধুরীরাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান : সিলেট বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীর কটুক্তির প্রতিবাদ ও প্রত্যাহার দাবী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শমসের মোবিন চৌধুরী বীর বিক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন বিএনপি চেয়াপার্সন এর উপদেষ্টা ইনাম আহমদ চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন জীবন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের শামীম।
একই সাথে বিবৃতি প্রদান করেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট এম. নুরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক দিলদার হোসেন সেলিম, এডভোকেট আব্দুল গফফার, আব্দুর রাজ্জাক, আলী আহমদ, আব্দুর মান্নান ও এমরান আহমদ চৌধুরী।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মৃক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জনাব শমসের মোবিন চৌধুরী বীর বিক্রম ১৯৭১ সালে ‘জেড ফোর্স’-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর নেতৃত্বে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেন। শমসের মোবিন চৌধুরী ১৯৭১-এ দেশমাতৃকার স্বাধীকারের প্রশ্নে নিজের জীবন বাজি রেখে মাতৃভূমির প্রতি তাঁর ঋণ শোধ করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। শমসের মোবিন চৌধুরী আপোষ জানেনা, প্রধানমন্ত্রীর হিংসাত্মক মুখে উচ্চারিত শব্দ বেঈমানী জানেনা। পাক হানাদারের গুলিতে নিজের একটি পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে দেশকে হানাদার মুক্ত করে জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নত চিকিৎসার্থে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের মতো জনাব শমসের মোবিন চৌধুরীকেও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশে চিকিৎসার্থে পাঠানো হয়। এটা তৎকালীন সরকার সুনির্দিষ্টভাবে জনাব শমসের মোবিন চৌধুরীকে কোন দয়া বা করুণা করেননি। এটা স্বাধীন রাষ্ট্র যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার্থে তার দায়িত্ব¡ পালন করেছে মাত্র। প্রধানমন্ত্রী গত রোববার কৃষকলীগের কর্মসূচিতে যুদ্ধাপরাধীদের পূনর্বাসন বিষয়ে যে বক্তব্য প্রদান করেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর আওয়ামীলীগ এর মোস্তাক সরকারই রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। আর সে সময় যুদ্ধাপরাধীদেরকে মোস্তাক সরকারই পূনর্বাসিত করে পুরস্কৃত করেছিল। এর দায় মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে আওয়ামীলীগ কখনই এড়াতে পারে না। শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধপরাধীদের সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে জেল থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিলেন এবং এর দায়ও আওয়ামীলীগ কখনও এড়াতে পারে না। অথচ আজ শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল স্তরের সম্মানীত মানুষদের সম্পর্কে কটুক্তি করতে করতে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত হিংসার বশবর্তী হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে আশালীন বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন। যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতীয় সম্মানের প্রতি চরম অবজ্ঞা ও অসম্মানজনক।
নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৯৮৬ সালে বেঈমান শব্দটির সাথে নতুন করে আরেকবার পরিচিত হয়েছিল। আর সেই শব্দটির সাথে জাতিকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই নেতৃবৃন্দ দেশ ও জাতির সম্মান ও ভাবমূর্তির স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আয়নায় নিজের চেহারা দেখে কম কথা বলার পরামর্শ দেন এবং দেশের সম্মানীত লোকদেরকে সম্মান দিয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান। পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটবাসী জনাব শমসের মোবিন চৌধুরী বীর বিক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কটুক্তির দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। বিজ্ঞপ্তি