নবীগঞ্জে অবৈধ স’মিল : চোরাই গাছ বিক্রি হচ্ছে অবাধে
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ নবীগঞ্জের শতক বাজার পয়েন্টে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একটি স’মিল। ফলে এলাকার পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীর লেখা পড়ায় মারাত্বক বিগ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রায় কোয়ার্টার কিঃমিঃ দূরে মৌলভীবাজারের আথানগিড়ী এলাকায় রয়েছে বনভিটের অফিস। ফলে উক্ত স’মিলে চোরাই কাঠের ব্যবসা ও সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান,উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক বাজারের পয়েন্টে এলাকাবাসীর আপত্তিকে উপেক্ষা করে প্রায় ৮ বছর পুর্বে অবৈধভাবে একটি স’মিল ব্যবসা চালু করেন ওই গ্রামের আব্দুল গফুর। এর অতি কাছে রয়েছে একটি মাদ্রাসা,একটি প্রাইমারী স্কুল এবং আশেপাশে বসত বাড়ি। গায়ের জোরে ওই স’মিল গড়ে উঠার ফলে স্কুল,মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া মারাত্বক হুমকীর সম্মূখীন। তাছাড়া স’মিলের শব্দের কারনে বসতবাড়িতে অবস্থানরত অনেক বয়স্ক হৃদরোগীসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ঝুকিঁপূর্ণ বলে জানাগেছে। প্রভাবশালী আব্দুল গফুর স’মিলের ব্যবসার অন্তরালে পাহাড়ী এলাকা বলে খ্যাত এই অঞ্চলের চোরাই গাছ কেনা-বেচার সাথে জড়িত রয়েছেন। এ সব চোরাই গাছ কম মূল্যে খরিদ করে সরকারী রাস্তার উপর রাখায় যানজটের সৃষ্টি হয়। কারও কোন প্রতিবাদ তোয়াক্কা করেন না আব্দুল গফুর।
সুত্রে জানায়,এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে এবং বৈধ কাগজপত্র না থাকায় গেল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেনাবাহিনী ওই স’মিলটি বন্ধ করে দিয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে আবার ব্যবসা দেদাড়ছে শুরু করেছেন। এলাকাবাসী উক্ত স’মিল বন্ধ করে দেয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাই এলাকার পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।