বালাগঞ্জে খুদ্দামুল কুরআন’র ফ্রি খতনা ক্যাম্প
দুঃস্থ্য মানুষের জন্য কাজ করা অনেক গৌরবের : উপজেলা চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া
বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আবদাল মিয়া বলেছেন, আমরা প্রত্যেকেই নিজের জন্য, পরিবারের জন্য প্রচুর খাটুনি খাটি। কিন্তু যারা নিজেদের পাশাপাশি অসহায়, বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করেন তাদের কাজটাই বেশি গৌরবের, তাদের অবদানটুকু কোনদিন হারিয়ে যায় না। তিনি বলেন, সমাজের জন্য, দুঃস্থ্য মানবতার জন্য প্রতিযোগীতা করে এগিয়ে যেতে হবে। খুদ্দামুল কুরআন সমাজ উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখে চলেছে, তা একদিন ইতিহাসের পাতায় সোনার হরফে লিখা থাকবে।
তিনি গতকাল বুধবার বালাগঞ্জ উপজেলার খন্দকার বাজারস্থ খুদ্দামুল কুরআন সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ফ্রি খতনা ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। খতনা ক্যাম্প উপলক্ষে সকাল ১১টার সময় আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সভাপতি মাওলানা আব্দুস শহীদ।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির লায়েক’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সৈয়দ আলী আছগর, পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা আশিকুর রহমান, খুদ্দামুল কুরআন সংস্থার উপদেষ্টা হাজী গোলাম গফুর দবির মিয়া, উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহ মাহফুজুল করিম, স্থানীয় ইউপি সদস্য আফরুজুল হক, সাবেক ইউপি সদস্য মকবুল হুসেন, খন্দকার বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মনাফ, সংস্থার উপদেষ্টা সদস্য ডা. আব্দুল হান্নান, বিশিষ্ট মুরুব্বী হাজী আব্দুল ওয়াদুদ মানিক মাস্টার, গহরপুর রাইটার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মো. জিল্লুর রহমান জিলু।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন সংস্থার স্থায়ী সদস্য মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মো. আবুল হুসাইন, সিনিয়র সহ সভাপতি আবু তালিব শাজান, সদস্য মাওলানা মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা হুসাইন আহমদ, খায়রুল ইসলাম, দিলোয়ার হোসেন, এমাম জুয়েদ, আবুল কালাম, আব্দুল মুমিন সাবুল, বেলাল আহমদ, আবরার আহমদ, আমিনুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মারুফ আহমদ রাসুম।
অনুষ্ঠিত ফ্রি খতনা ক্যাম্পে এলাকার ইয়াতিম এবং দরিদ্র পরিবারের ৩২জন শিশুর খতনা এবং তাদের প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য : সংস্থার পক্ষ থেকে ইতোপূর্বেও গত ২০১২ সালে ২৫জন শিশুর ফ্রি খতনা করে দেওয়া। এছাড়া প্রতি বছর নিয়মিত দুঃস্থ্যদের মধ্যে শীতবস্ত্র, খাদ্য ও অর্থ বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।