নানা সংকট নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ
সৈয়দ তাওসিফ মোনাওয়ার, সুনামগঞ্জ : নানা সংকট নিয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদানে এগিয়ে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ। এটিই এ জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভবন নেই, রয়েছে শিক্ষক সংকটও। রয়েছে নানা বাঁধা ও প্রতিক’লতা। সবকিছুকে ছাপিয়েও হাওরাঞ্চলের শিক্ষাবিস্তারে অনন্য ভ’মিকা রাখছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনার্সে নতুন বিষয় বৃদ্ধি ও মাস্টার্স চালুকরণের মধ্য দিয়ে কলেজটি পরিণত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৯৪৪ সালের ১ জুলাই সুনামগঞ্জ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আসামের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী স্যার সৈয়দ মুহম্মদ সাদউল্লা। প্রথমে বেসরকারি মিলনায়তন টাউন হলে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮০ সালের ৩ মার্চ কলেজটি জাতীয়করণ হয় সরকারি কলেজের মর্যাদা লাভ করে। এ কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন প্রফুল্ল কুমার চক্রবর্তী।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাই সৈয়দ মর্তুজা আলী ১৯৪০ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জ মহকুমার প্রশাসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লেখক সৈয়দ মর্তুজা আলী তাঁর আত্তজীবনীমূলক গ্রন্থ আমাদের কালের কথায় এ কলেজ প্রসঙ্গে লিখেছেন- ”কলেজের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে আমি গ্রামাঞ্চলে যাই। মরহুম আব্দুল বারি চৌধুরী, উকিল মফিজ চৌধুরী, আব্দুল খালিক আহমদ, আব্দুল হান্নান চৌধুরী, মকবুল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ নেতারা এ সময় এগিয়ে আসেন। প্রথমে পঁচিশ হাজার টাকা চাঁদা সংগ্রহ করে আমরা কলেজের মঞ্জুরীর জন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অধ্যাপক জুবের সিদ্দিকী ও সতীশ চন্দ্র ঘোষ কলেজ পরিদর্শন করতে আসেন। তখন তাঁরা বলেন, কলেজ তহবিলে অন্তত পঞ্চাশ হাজার টাকা না থাকলে কলেজের স্থায়িত্ব সম্বন্ধে সুনিশ্চিত হওয় যায় না। আমি আবার চাঁদা সংগ্রহের অভিযান শুরু করি ও প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে সক্ষম হই। গৌরীপুরের জমিদার বীরেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীকে কলিকাতার ঠিকানায় টেলিগ্রাম করা হলে তিনি পাঁচ হাজার টাকা দিতে সম্মত হন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এ কলেজের স্বীকৃতি দেয়।”
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুনামগঞ্জ কলেজকে অনার্স কলেজে উন্নীত করার ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৮-৯৯ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ৮টি বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি ফি বাবদ ২০ হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়। এরপর ২০০১ সালে বাংলা, দর্শন, ইতিহাস এবং হিসাববিজ্ঞান এ ৪ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়।
কলেজের উপাধ্যক্ষ সৈয়দ মহিবুল ইসলাম জানালেন, অনার্সে বিষয় বৃদ্ধি করা ও মাস্টার্স কোর্স চালু করা কলেজ কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল। বিভিন্ন সময় কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দসহ ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নও এব্যাপারে দাবী জানিয়ে আসছিল। দীর্ঘদিন ধরে কলেজের অনার্স বিভাগ চলে আসছিল মাত্র ৪টি বিষয় নিয়ে। চালু থাকা ৪টি অনার্স কোর্সের সাথে নতুন আরো ৬টি কোর্স যুক্ত হয়ে এখন মোট অনার্স কোর্সের সংখ্যা হল ১০টি। চালু হয়েছে মাস্টার্সও। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে উপাধ্যক্ষ বলেন, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ এখন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
এবছর অনার্সে যুক্ত হওয়া নতুন ছয়টি বিষয় হল – ইংরেজী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা, গণিত এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম অধিভূক্তি কমিটির সুপারিশ এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন সাপেক্ষে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে এ ছয়টি বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম সাময়িক অধিভূক্তি প্রদান করা হয়। এখন মোট অনার্স কোর্সের সংখ্যা হল ১০টি। ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম সাময়িক অধিভূক্তি প্রদান করা হয়েছে মাস্টার্স চালুর জন্য। মাস্টার্সে চালু হওয়া বিষয় পাঁচটি হল – বাংলা, ইতিহাস, দর্শন, হিসাববিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)।
বাংলা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অভিজিৎ রায় এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের এই কলেজে নতুন ছয়টি বিষয়ে অনার্স চালু হওয়ায় অনেকেই ভাল বিষয়ে পছন্দমত পড়ার সুযোগ পাবে।
অভিজিৎ রায় বললেন, অনার্সে বিষয়বৃদ্ধির পর চালু হয়েছে মাস্টার্স। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ মহোদয়ের পরিশ্রমের ফসল এটি। আমরা অনার্স শেষ করে এখন এখানেই মাস্টার্স পড়তে পারব। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও ভাল ফল রাখছে কলেজটি। তিনি বলেন, এখন অবিলম্বে কলেজের অবকাঠামোগত সংকট ও শিক্ষক সংকট দূর করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
উপাধ্যক্ষ সৈয়দ মহিবুল ইসলাম বলেন, কলেজটিতে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক ও সøাতক শ্রেণীতে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ বাদে বিভিন্ন বিভাগে ৫২টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৩৩জন শিক্ষক। শিক্ষক সংকট প্রকট, এখন প্রয়োজন কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শুন্যপদ পূরণ। নতুন বিভিন্ন বিষয় চালু হয়েছে, এখন নতুন পদ সৃষ্টি করে প্রয়োজন অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের পদায়ন করতে হবে। অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের পদগুলোকে উন্নীত (আপগ্রেড) করে অধ্যাপকের মর্যাদা দিতে হবে। অনার্স মাস্টার্স কোর্সের ক্লাস নেয়ার জন্য যেটুকু অবকাঠামো প্রয়োজন তা নেই।
কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সাথে আলাপে প্রতিবেদক জানতে পারেন, নতুন অবকাঠামো বা ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ হয়েছে আছে রহস্যজনক কারণে। ২০১২সালে সুনামগঞ্জ সদর আসনের তৎকালীন সাংসদ মতিউর রহমান এমপি একটি পাচঁতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন, কিন্তু সেই ভবন আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়াও রয়ছে বহুবিধ সমস্যা। কলেজে নেই সীমানাপ্রাচীর, এতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে অনেকসময়। শিক্ষকদের জন্য নেই ডরমেটরি, বাইরের এলাকার শিক্ষকেরা সুনামগঞ্জে এলে অনেকসময় থাকার জায়গার অভাবে পোস্টিং নিয়ে অন্যজায়গায় চলে যান, এ কারণে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয় ভাল শিক্ষকের সং¯পর্শ থেকে। কলেজে কর্মরত বেশিরভাগ কর্মচারীই মাস্টাররোলে আছেন, তাদের চাকুরী সরকারিকরণ হয়নি। চাকুরী সরকারিকরণ হলে কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আসতো।
অধ্যক্ষ প্রফেসর মেজর ছয়ফুল কবীর চৌধুরী বলেন, তিনি এ কলেজে যোগদানের পর থেকেই উপাধ্যক্ষ মহোদয়কে সাথে নিয়ে অনার্সে বিষয় বৃদ্ধি ও মাস্টার্স চালুর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এবারই এব্যাপারে ইতিবাচক ফল মিলেছে। অবকাঠামগত সংকট থাকার পরও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনার্সে বিষয় বৃদ্ধি ও মাস্টার্স চালুর অনুমোদন দিয়েছে।
অধ্যক্ষ ছয়ফুল কবীর এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে জানান, শুধু পড়ালেখাই নয়, পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষামূলক কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও খেলাধূলাতেও এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রাখছে। নিয়মিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক, রচনা প্রতিযগিতা আয়োজন করা হয় কলেজে। গতানুগতিক কার্যক্রম হিসেবে আয়োজন করা হয় বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। তিনি এ কলেজে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোও বর্নাঢ্য আয়োজনে পালন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানাদিতে অংশ নিচ্ছেন বরেণ্য অতিথিরা। কলেজে সক্রিয় আছে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট।
কলেজের এত উন্নয়ন কর্মকান্ড হচ্ছে আপনার সময়কালে, আপনি কোন বাঁধার সম্মুখীন হন নি? এমন প্রশ্ন করা হলে অধ্যক্ষ বললেন, বাঁধা তো থাকবেই। আমি এতে শংকিত নই।
জানা গেল, কিছুদিন আগে ডিগ্রী কোর্সে ভর্তির আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফিসের বাইরে বাড়তি ১০০টাকা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশের বেশিরভাগ কলেজেই এ পরিমাণ বাড়তি টাকা নেয়া হয় কলেজের অভ্যন্তরীণ কিছু উন্নয়নের জন্য। এই টাকা ব্যয় হয় মাস্টাররোল কর্মচারীদের বেতনসহ বিভিন্ন উন্নয়নের খাতে। অথচ সুনামগঞ্জের একটি স্থানীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা এই ১০০টাকা আদায়ের ব্যাপারটিকে অতিরঞ্জিত করে ‘লাখ টাকার ভর্তি বাণিজ্য‘ বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবেদন করেছে। এতে ফুঁসলে গিয়ে কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের বহিরাগত কর্মীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। অধ্যক্ষ বললেন, এটা তো কোন দূর্নীতি নয়, এই টাকা কলেজের উন্নয়নের জন্যই নেয়া হয়। আর এসব ক্ষেত্রে এমন বাঁধা আসতেই পারে, কিন্তু তাই বলে উন্নয়নের জন্য আমি আমার দায়িত্বে পিছপা হবো না।
তিনি বলেন, গত ৩ বছরে কলেজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি বিধিবিধান প্রতিপালন করেই যুগান্তকারী উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় ৭ বছর পূর্বে সমাপ্ত নবনির্মিত প্রায় পরিত্যক্ত ছাত্রীনিবাসটি চালু করা হয়েছে। শ্রেণীকক্ষ সমূহে হোয়াইট বোর্ড, সাউন্ড সিস্টেম সংযোজিত হয়েছে। মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ ও কলেজ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজে প্রথমবারের মত বোটানিক্যাল গার্ডেন সহ আরেকটি সুদৃশ্য বাগান নির্মাণ করা হয়েছে। কলেজ বার্ষিকী নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। কলেজ শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধে অত্র কলেজের শহীদ ছাত্রদের স্মৃতিফলক ইত্যাদি আকর্ষনীয় ভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে। কলেজের সাংস্কৃতিক বন্ধাত্ব দূরীকরণ করা হয়েছে এবং নিয়মিত ভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ চলছে। অন্যান্য উন্নয়ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সহঃশিক্ষা কার্যক্রম ও নানা প্রতিযোগিতায় কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। ২০১৩সালে সরকারিভাবে আয়োজিত সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় সারাদেশে চ্যা¤িপয়ন হয়েছেন এই কলেজের ছাত্রী মধুরিমা সাহা, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান মেলা, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, আবৃত্তিসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পুরস্কারপ্রাপ্তি এ কলেজের অর্জনের খাতাকে সমৃদ্ধ করছে। জাতীয় দিবসে কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীতেও নিয়মিত পুরষ্কার লাভ করে রোভার স্কাউট দল।
দীর্ঘ বহু বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশ হয়েছে কলেজের বার্ষিক সাময়িকী উন্মীলন। এবছরের সাময়িকী প্রকাশের জন্য কাজ চলছে বলে জানালেন অধ্যক্ষ।
২০১৪ সালের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহের মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন শিক্ষাসচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক। তিনি কলেজের যাবতীয় সংকট দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর থেকে সবাই আশাবাদী, নিশ্চয়ই কলেজের উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।
অধ্যক্ষ ছয়ফুল কবীর বললেন, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজকে শিক্ষার মানের দিক দিয়ে এগিয়ে নিতে পারলেই নিজের দায়িত্ব পালনকে স্বার্থক মনে করবেন তিনি।