এবার ফেনীতে উলঙ্গ করে শিশু নির্যাতন, এলাকায় তোলপাড়
ডেস্ক রিপোর্টঃ ফেনী পৌর এলাকার কালিপাল সংলগ্ন স্থানে এক শিশুকে চুরির অভিযোগে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়েছে। শিশুটিকে বিবস্ত্র করে দোকান ঘরের খুঁটির সাথে বেঁধে নিষ্ঠুর নির্যাতনের পর অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকদিন ধামাচাপা থাকলেও মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সূত্র ঘটনার জন্য শহরের কালি মন্দির মার্কেটের হরে কৃষ্ণ স্টোরের মালিক অর্জুন দাস ও তার সঙ্গীদের দায়ী করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর শিশুটিকে শহরের কালিপাল দশমী ঘাট সংলগ্ন প্রদীপ চন্দ্র দাসের ওয়ার্কশপের সামনে খুঁটির সাথে বেঁধে লাঠি ও রড দিয়ে বেদম পেটানো হয়। একপর্যায়ে সড়কের ওপর লাগানো ব্যানার ছিঁড়ে কফিন বন্দীর মত বেঁধে ফেলা হয়। এমনকি বৈদ্যুতিক শকও দেয়া হয় তাকে। আজ ফেসবুকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়।
ছবিতে নির্যাতনকারীদের মধ্যে শহরের কালি মন্দির মার্কেটের হরে কৃষ্ণ স্টোরের মালিক অর্জুন দাস ও পুলিশ লাইন সংলগ্ন দোকানদার শহীদকে দেখা যায়। মঙ্গলবার বিকালে দোকানদার প্রদীপ ও তার তিন কর্মচারী মৃদুল, সুমন ও পারভেজকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
প্রদীপ চন্দ্র দাস জানান, তিনি ঘটনার সময় দোকানে ছিলেন না। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় অজ্ঞাতনামা ১২-১৩ বছর বয়সী ওই শিশুটি তার দোকানের পেছন দিয়ে বেড়া কেটে চুরির উদ্দেশ্যে ভেতরে ঢুকে। এসময় আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে আটক করে মারধর করে ছেড়ে দেয়। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। তবে ওই ছবি দেখে অর্জুন দাস ও শহীদকে তিনি সনাক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে অর্জুন দাসের দোকানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে তিনি জানান, বাড়ি থেকে শহরে ফেরার পথে শিশুটিকে আটক অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি এগিয়ে যান। চুরির কথা শুনে তিনিও কয়েকটি বেত্রাঘাত করেন।
এদিকে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়েও শিশুটির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তার বর্তমান অবস্থার কথাও কেউ কিছু জানাতে পারেনি।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো: শাহীনুজ্জামান জানান, নির্যাতিত ছেলেটি ও নির্যাতনকারীদের নাম-পরিচয় সনাক্ত করতে তারা তদন্ত করছেন।