রিকশাওয়ালার সঙ্গে মার্কিন তরুণীর ‘বিয়ের গল্প’, ভুল ভাঙাল দূতাবাস
ডেস্ক রিপোর্টঃ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ফুলব্রাইট গবেষণা বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন পলিন শুমেকার। নতুন দেশ আর মানুষদের নিয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ছিলেন এই মার্কিন তরুণী। আর তাঁর এই খুশি-উচ্ছ্বাসের খবর বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাসও। গত ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের এক রিকশাওয়ালার সঙ্গে মার্কিন তরুণী পলিনের সবুজ শাড়ি পরা হাসিমুখের ছবি ফেসবুক আর টুইটারে পোস্ট করে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
কিন্তু সবুজের দেশে সবুজ শাড়ি পরে এক সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে তোলা ছবির জন্য যে আবার ব্যাখ্যা লিখতে হবে তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি পলিন শুমেকার। ভাবেনি ঢাকার মার্কিন দূতাবাস কর্তৃপক্ষও। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘রিকশাওয়ালার সঙ্গে মার্কিন তরুণীর বিয়ের গল্প’ চাউর হয়ে যেতেই বিষয়টি নিয়ে ভুল ভাঙাতে আবার লিখতে বসতে হয়েছে মার্কিন দূতাবাসকে।
মার্কিন দূতাবাসের টুইটার পেজে গত ১০ সেপ্টেম্বর দেওয়া স্ট্যাটাসে এই ছবিটি সম্পর্কে লেখা রয়েছে, ‘ফুলব্রাইট বৃত্তি নিয়ে পলিন শুমেকার যখন বাংলাদেশে কাজ করছিলেন, তিনি বাংলাদেশের মানুষ ও সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়েছিলেন।’ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের একটি গ্রামে শাড়ি পরে তিনি রিকশা ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কিন্তু এই ছবিটি প্রকাশের পর কিছু ফেসবুক পেজ ও অনলাইন মিডিয়া ছবিটি ব্যবহার করে একটি খবর প্রকাশ করে। খবরটির শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশি রিকশাচালকের সততায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বিয়ে করলেন মার্কিন তরুণী ব্রাউন।’ খবরটি প্রকাশের পর এটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
শেষে আজ রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ছবি নিয়ে একটি মিথ্যা গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। দূতাবাসের ফেসবুক পেজে মার্কিন ফুলব্রাইট এক গবেষকের বাংলাদেশে অবস্থানকালে একজন রিকশাওয়ালার সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করা হয়। কিন্তু মিথ্যা একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ছবির দুজন বিয়ে করেছেন- যা পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা। আমরা প্রতিবেদন তৈরি করার ব্যাপারে সাংবাদিক এবং সংবাদ সংস্থাগুলোকে নৈতিক এবং দায়িত্বশীল হওয়ার অনুরোধ করছি।’
মার্কিন দূতাবাসের ‘নৈতিক এবং দায়িত্বশীল’ হওয়ার অনুরোধ সেই সব ‘গুজব ছড়ানো’ ‘সাংবাদিক এবং সংবাদ সংস্থাগুলোর’ কতখানি টনক নড়বে সেটাই দেখার বিষয়।