বড়লেখা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ উদাসীন :১২ বছর পরো খুজে নিতে পারেনি নিজস্ব ঠিকানা
সুরমা টাইমস ডেস্ক: বড়লেখা পৌরসভা অন্তহীন সমস্যায় জর্জরিত। প্রতিষ্টার একযুগ পরও খুঁজে পায়নি নিজস্ব ঠিকানা। ২০০৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৌরভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করার ৯ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও সমাজসেবা বিভাগের জরাজীর্ণ জনমিলন কেন্দ্রে চলছে পৌরসভার কার্যক্রম। নেই পর্যাপ্ত জনবল। অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ, তীব্র যানজট, ফুটপাট দখল, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা, সরকারী খাল-নালা ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ আর রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থাসহ নানামূখী সমস্যাই যেন পৌরবাসীর নিয়তি। প্রায় অর্ধযুগ ধরে ৮৪ পদের ৬৩ পদই শূন্য। ২১ জন স্টাফ দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে পৌরসভার নাগরিক সেবা।মেয়র বললেন পৌর নাগরিকসহ সংশ্লিষ্টরা নিয়মিত ট্যাক্স প্রদান না করায় অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হয় না। ২১ জন স্টাফের বেতন ভাতা প্রদানেই তাকে হিমসিম খেতে হয়।জানা গেছে, ২০০১ সালের ১৪ জুন ৯.৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বড়লেখা পৌরসভার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম নির্বাচিত মেয়র আব্দুল মালিকের মৃত্যুর পর ২০১১ সালে দ্বিতীয় নির্বাচিত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন প্রভাষক ফখরুল ইসলাম।বর্তমানে এ পৌরসভার আয়তন ২৭.৫০ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। ২০০৪ সালের ৪ অক্টোবর এ পৌরসভাটি ‘খ’ গ্রেডে উন্নীত হয়। গ্রেডের উন্নয়ন হলেও নাগরিক সেবার কোন উন্নয়ন হয়নি; বরং দুর্ভোগ বাড়তেই থাকে। সর্বমোট ৬৫ কিলোমিটার রাস্তার ৩৩ কিলোমিটার এখনও কাঁচা। ২২ কিঃ মিঃ ড্রেনের মাত্র ২ কিলোমিটার পাকা। ঠিকাদার আর কাউন্সিলরদের টেন্ডার বাজিতে দীর্ঘদিন থেকে পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন স্থবির।কর্তৃপক্ষের দুর্বল তদারকি, স্বজনপ্রীতি, কমিশন বাণিজ্যে রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের চরম অনিয়মের খেসারত দিতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। অপরিকল্পিত ও কাঁচা ড্রেনেজের কারনে অল্প বৃষ্টিতে চরম জলাবদ্ধতার শিকার হন পৌরবাসী। বিশেষ করে বাসা-বাড়ীর পানি নিষ্কাষনের পর্যাপ্ত ড্রেনেজ না থাকায়, খাল নালা ভরাট করায় অবর্ণনীয় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।পৌরসভার অনেক এলাকা এখনো বিদ্যুৎহীন। সরেজমিনে পৌরসভার হাটবন্দ, কলেজ রোড, বারইগ্রাম, আহমদপুর, ইয়াকুব নগর, মুড়িরগুল, উপজেলা ভুমি অফিস রোড, গাজিটেকা রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাস্তা ঘাটের বেহাল চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ী গোবিন্দ দত্ত, আব্দুল আজিজ, নুরুল ইসলাম জানান, নামকা ওয়াস্তে রাস্তা ঘাট আর ড্রেনের সংস্কার করায় খানাখন্দ আর কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় পৌরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।ফুটপাত দখল আর অবৈধ স্থাপনায় পৌরশহরে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পৌরমেয়র প্রভাষক ফখরুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রাস্তার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। পৌরসভার নাগরিকসহ সংশ্লিষ্টরা নিয়মিত ট্যাক্স প্রদান না করায় অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ২১ জন স্টাফের বেতন ভাতা প্রদানেই পৌর কর্তৃপক্ষকে হিমসিম খেতে হয়। দেশে ‘বি’ গ্রেডের অনেক পৌরসভা ৭/৮ জন স্টাফ দিয়ে চালিয়ে নেয়ার নজির রয়েছে।