সিলেটের সাত উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করেছে কানাইঘাটের সুরমা সেতু
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের সীমান্তবর্র্তী উপজেলা কানাইঘাটের চিত্র পাল্টে দেওয়ার পাশাপাশি পার্শবর্তী আরো সাতটি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজতর করেছে নব নির্মিত কানাইঘাটের সুরমা সেতু। উত্তর-পূর্ব সিলেটের একদিকে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ এবং অপরদিকে জকিগঞ্জ, বিয়ানি বাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা। আর এর মধ্যখানেই কানাইঘাট উপজেলার অবস্থান। তাই কানাইঘাটে সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মানের মধ্য দিয়ে এ বৃহত্তর অঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে।
কানাইঘাট বাজার হতে আধা কিলোমিটার দক্ষিণে সুরমা নদীর উপর নন্দিরাই-বাইয়মপুর নামক স্থানে ২৯৩.৯২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থ এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর। ‘জিয়াউর রহমান সেতু’ নামকরণ করে এর নির্মাণ কাজের উদ্ধোধন করেন তৎকালীন ৪দলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব কানাইঘাটের সন্তান আবুল হারিছ চৌধুরী। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠার কারণে আলোর মুখ দেখতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি এ অঞ্চলের মানুষকে। ২০১০ সালের শুরুতেই শেষ হয় সেতুর নির্মাণ কাজ। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান সেতুর পরিবর্তে মোশাহিদ (রঃ) সেতু নামকরণ করে ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বহু প্রত্যাশিত এ সেতুর শুভ উদ্ভোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুরমা নদীর কারণে উত্তর সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাথে পূর্ব সিলেটের জকিগঞ্জ, বিয়ানিবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ছিলনা। তাই এ সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে পাথর কোয়ারী, প্রকৃতিক সম্পদ এবং কৃষি নির্ভর এ উপজেলাগুলোর অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।