‘পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা চুক্তি হতো’
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ প্রশ্নপত্র ফাঁসে কয়েকটি ধাপে চক্রের সদস্যরা কাজ করতেন। সদস্যদের কেউ পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন। কেউ প্রশ্নপত্র পৌঁছে দিতেন। প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর আগে সরবরাহ করা হতো। মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু এসব ছাত্র/ছাত্রীদের সঙ্গে ১০ লাখ টাকায় চুক্তি হতো। এ কাজে সরাসরি জড়িত থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।
র্যাব সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার দুপুরে মিডিয়া শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান এসব তথ্য জানান।
এ সময় তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরা শেরেবাংলা নগর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অফিসে অভিযান চালায়। এ সময় মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রসহ ইউজিসির সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজসহ তিনজনকে হাতে-নাতে ধরা হয়।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কর্মকর্তাসহ অন্যরা জানিয়েছেন, একেকজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে ১০ লাখ টাকায় চুক্তি করতেন। আগে টাকা নিয়ে নিতেন। পরীক্ষার দিন সকালে ওইসব পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হতো। এ চক্রের সদস্যদের কেউ পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন। কেউ প্রশ্নপত্র পৌঁছে দিতেন। এ ঘটনায় আরো তথ্য জানতে তাদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত চক্রটি এবার ব্যর্থ হয়েছে। আগামীতেও এ ব্যাপারে কঠোর হবেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে সজাগ থাকবেন। তাদের বেতন, ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরপরেও এ ধরনের কাজে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য সন্দেহে গত সাত দিনে ৪২ জনকে আটক করা হয়েছে।