বালাগঞ্জে তিন সন্তানের জননী ধর্ষন : ২০দিনেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক : পুলিশের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ
শাহ মো. হেলাল, বালাগঞ্জঃ বালাগঞ্জে তিন সন্তানের জননী পাশবিকতার শিকারের ২০দিন অতিবাহিত হলেও রিফাতপুর গ্রামের প্রভাবশালী শফিক মিয়ার পুত্র কুখ্যাত ধর্ষক লাকি মিয়া গ্রেফতার হয়নি। প্রভাবশালী ধর্ষক লাকী মিয়া নিশ্চিন্তে তার বাড়িতে অবস্থান করছে। প্রয়োজনে সে প্রকাশ্যে বাজার হাটে চলাফেরা করলেও পুলিশ অজানা কারণে তাকে গ্রেফতার করছে না বলে বাদীর পরিবার অভিযোগ করেন।
দীর্ঘ দিন পরও আসামীকে গ্রেফতার না করায় পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঘটনার ৫দিন পর মামলা আমলে নিলেও ২০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আসামীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে গত ৬ তারিখ ধর্ষিতা সাহেদা বেগম নারী নির্যাতনের ২২ ধারায় মেজিষ্টেটের কাছে জবানবন্দি করেছেন। এ দিকে বাদীকে হয়রানী করতে বাদীর উপর মামলা, আসামীর পিতার ফিসারীর পুকুর পাড়ে আশ্রিতা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বসত ঘর করে থাকলেও এখন সেখান থেকে সব কিছু ফেলে চলে যাওয়ার হুমকীসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকী-হামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বাদি পক্ষ বেশ আতংকে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বালাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রিফাতপুর গ্রামের শফিক মিয়ার ফিসারীর পুকুর পাড়ে থাকতেন ভ’মিহীন একই গ্রামের আব্দুল মান্নান। গত জুলাই মাসের ২৬ তারিখ দিন মজুর আব্দুল মান্নান প্রতিদিনের মত নিজ কাজে চলে যান। ছেলে স্কুলে চলে যায়। এ দিন ২টার সময় দুই মেয়ে তার ফুফুর সাথে বাইরে গিয়েছিল। এ সময় আব্দুল মান্নানের স্ত্রীকে তার বসত ঘরে একা পেয়ে সে সুপারী খাওয়ার অযুহাতে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় টিপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষিতার শরীরে দাড়ালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আশাপাশের লোকজন ও ধর্ষিতার স্বামী অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থা আশংকাজনক ও অতিরিক্ত রক্তকরণের কারণে তাকে সাথে সাথে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন। নির্য়াতিত মহিলার স্বামী বাদী হয়ে রিফাতপুর গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে লাকী মিয়া (২৫) কে আসামী করলে পুলিশ ৩০.০৭.২০১৫ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মামলা আমলে নেয়। মামলা নং ১৪।
এদিকে মামলার মূল ঘটনাকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করতে প্রভাবশালী একটি কুচক্রি মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে বাদীর পরিবাবর সুত্রে জানা যায়। অন্য দিকে সচেতন মহল কুখ্যাত ধর্ষক লাকীকে গ্রেফতারের দাবী জানান।
মামলার বাদী আব্দুল মান্নান জানান, আজ ২০ দিন হলো আমার স্ত্রীকে নির্যাতনকারী আসামী ধর্ষক লাকী মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না। আমি ন্যায় বিচার চাই। আমরা আশ্রিতা হিসেবে আসামীর পিতার ফিসারীর পুকুর পাড়ে বসত ঘর করে বসবাস করছি। এখন এ বিপদের সময় বলছে সব কিছু ফেলে যেতে হুমকীও দিচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী এসআই নরেশ চন্দ্র ভট্রাচার্য বলেন, আসামী আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপরে বালাগঞ্জ থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।