কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারো পেছাল

pস্টাফ রিপোর্টার :: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যামামলায়  সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ফের পিছিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান অনুপস্থিত থাকায় আলোচিত এই হত্যামামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, বিচারক আদালতে আসতে না পারায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। বৃহস্পতিবার আসামিদেরকেও আদালতে উপস্থিত করা হয়নি। মামলার পরবর্তী তারিখ পরে জানানো হবে।
গত বছরের ১১ জুন হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কিবরিয়া হত্যামামলাটি পাঠানো হয়েছিলেঅ। ট্রাইব্যুনালে মামলাটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় নিয়মানুযায়ী ১৫ কর্মদিবস করে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়। সেই সময় শেষ হয় গত বছরের ৯ ডিসেম্বর।
এ অবস্থায় মামলার কার্যক্রম সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে রাখতে গত ৬ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১১ মার্চ থেকে পুনরায় দ্রুত বিচার আদালতে বিচার শুরু হয় আলোচিত এ মামলার।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাবকে অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলার কারান্তরীণ ও জামিনে থাকা সকল আসামির উপস্থিতিতে মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিকর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান অন্যতম প্রমুখ।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।