দক্ষিণ সুরমায় পূর্ব শত্রুতার জের দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ১০
স্টাফ রিপোর্টারঃ দক্ষিণ সুরমার শুকলামপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির ক্যাশিয়ারসহ দু’পক্ষের ১০ জন মুসল্লী আহত হয়েছেন। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে একটি পক্ষ দলবল নিয়ে আবারো আক্রমণ করে। এ সময় পুলিশ ও উপস্থিত জনতার সহযোগিতায় চিকিৎসা গ্রহণকারীরা রক্ষা পান। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনের উপর হামলার দৃশ্য দেখে রোগী ও উপস্থিত জনতার মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়।
জানাযায় গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে দক্ষিণ সুরমা থানার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের শুকলামপুর জামে মসজিদের মুসল্লীরা পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে থাকেন। এক পর্যায় এলাকার আব্দুল আজিজের পুত্রগণ মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ হাজী আব্দুল কাইয়ুমের সঙ্গে তর্কাতর্কী শুরু করেন। এ সময় উত্তেজনা বিরাজ করলে আব্দুল আজিজের পুত্র বিলাল, কয়ছর, তারেক, সোহেল, সুমন, ফরিদ, মানিক, সেবুল সহ তাদের পক্ষের লোকজন আব্দুল কাইয়ুমের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এতে আব্দুল কাইয়ুম, আহত হলে তাকে রক্ষার জন্য লন্ডন প্রবাসী ভাই রইছ উল্লাহ এগিয়ে আসেন। ঐ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে আব্দুল কাইয়ুমের পক্ষের রাজু আহমদ, মইনুল ইসলাম, মিছবাউল ইসলাম, ওয়ারিছ আলী, সামছুল ইসলাম সহ ১০ জন আহত হন। তাদের অনেকেরই মাথায় ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ঘটনার পর আহতদেরকে ঐ এলাকার আব্দুল মুতলিবের পুত্র আবুল ইসলাম সহ কয়েকজন লোক চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে ইফতারের কিছু পূর্বে প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতাল অভ্যন্তরে তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় উপস্থিত লোকজন হাসপাতালের ৩য় তলার ১১ নং ওয়ার্ডের সামনের দরজা বন্ধ করে আহতদের রক্ষা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পরে হাসপাতালের পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ব্যাপারে আবুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আহতদেরকে এনে চিকিৎসা দেয়ার সময় তিনি হামলাকারী কর্তৃক আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা তাকে ধরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল এ সময় তার পকেটে থাকা চিকিৎসা খরচের ১৫ হাজার টাকা হামলাকারীরা নিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত জনগণ ও পুলিশকে জানিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে জানা যায়, একই ঘটনায় আব্দুল আজিজের পুত্র কয়ছর সহ তার আরো ২ ভাই আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ফের সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। ঘটনার পর পর দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আতাউর রহমান জানান, এ রকম ঘটনার সংবাদ শুনে আমি কামাল বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেই। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা না হলেও পুলিশ এবং স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা চলছে।