চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : আহত ৩

CTG Helicopter Crashসুরমা টাইমস ডেস্কঃ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।এতে তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।বিমান বাহিনী সূত্র জানায়, আহত ব্যক্তিরা হলেন স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত, পাইলট অফিসার ফুয়াদ ও সার্জেন্ট ফেরদৌস। শাফায়াত ও ফেরদৌসকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফুয়াদকে পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রামে অবস্থিত নৌবাহিনীর হাসপাতালে। বিমান বাহিনী সূত্রে জানা যায়, বিধ্বস্ত হওয়া এমআই ১৭-৪১০ হেলিকপ্টারটি বিমানবাহিনীর সদস্যদের পরিবহন, প্রশিক্ষণ ও দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হতো। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত জহুরুল হক বিমানঘাঁটি থেকে আকাশে ওড়ে। এর পরপরই পাইলট জরুরি অবতরণের সংকেত পাঠান। কিছুক্ষণ আকাশে চক্কর দেওয়ার পর হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নূর-ই আলম বলেন, বেলা ১১টা ছয় মিনিটে বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়। পাইলট ফুয়াদ হেলিকপ্টার থেকে বের হতে সক্ষম হন। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত শাফায়াত ও ফেরদৌসকে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার থেকে বের করে আনেন। আহত তিনজনের মধ্যে দুজনকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিকহাসপাতালে ওএকজনকে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নূর-ই আলম বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৫৫ মিনিট বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবার বিমান চলাচল শুরু হয়। গতকাল বুধবার সকাল ১১টা ১০মিনিটে রানওয়ের সড়কের পাশে জমিতে এমআইএ সেভেন্টিন ৪১০ নামে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর বিমান উঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রায় দুইঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুপুর একটার দিকে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়।দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত, ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার সার্জেন্ট ফেরদৌস ও পাইলট অফিসার মো. ফুয়াদ। এদের মধ্যে শাফায়েত ও ফেরদৌস ছিলেন প্রশিক্ষক এবং ফুয়াদ ছিলেন প্রশিক্ষণার্থী।
গুরুতর আহত স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত ও ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার সার্জেন্ট ফেরদৌসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি একজনকে চট্টগ্রাম নৌবাহিনী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।বিমানবন্দরে উপস্থিত বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় এমআইএ সেভেন্টিন ৪১০ নামে প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টারটি বিমানবাহিনীর জহরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। ৪০ মিনিট আকাশে ওড়ার পর পাইলট এর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কন্ট্রোল রুমে সংকেত পাঠায় পাইলট। হেলিকপ্টারটি রানওয়ের সড়কের পাশে জমিতে ছিটকে পড়ে। এসময় হেলিকপ্টারে হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবাহিনীর অগ্নি নির্বাপক দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হলেও পাইলট অফিসার মো. ফুয়াদ এর ভেতর থেকে হেঁটে বেরিয়ে আসে। বাকী দুইজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নুর ই আলম বলেন, বিমানবন্দরের রানওয়েতে এমআইএ সেভেন্টিন ৪১০ হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। হেলিকপ্টারে থাকা তিনজন পাইলটকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে নৌবাহিনীর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহত স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত ও ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার সার্জেন্ট ফেরদৌসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ হারানোর সংকেত পাওয়া মাত্রই বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দুপুর একটার দিকে পুনরায় স্বাভাবিক হয় ফ্লাইট কার্যক্রম।
নিহত সুইটি খাতুনের (২৪) স্বামী জাহিদ হোসেন ডেসকোর একজন প্রকৌশলী। আর নিহত আমিনুল ইসলাম (৪৪) জাহিদের মামা।জাহিদের বন্ধু সুমন ঘটনাস্থল থেকে জানান, দুপুরে মোটরসাইকেলে করে দুই ব্যক্তি বাড়ির সামনে এসে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ভেতরে ঢোকে।সুইটি দরজা খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো শুরু করে। মামা বাধা দিতে গেলে তাকেও কোপানো হয়।এতে দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন বলে জানান সুমন।পুলিশের পল-বী জোনের সহকারী কমিশনার কামাল হোসেন জানান, ওই বাড়াটি জাহিদের। তার মামা সেখানে বেড়াতে এসেছিলেন।চাঁদার দাবিতে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এর আগে জাহিদের পরিবারকে কয়েক দফা হুমকি দিয়েছিল বলে জানান সুমন।
সুইটি ডেসকো-এর রূপনগর অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপাড়ায়। সুইটির স্বামী জাহিদুল ইসলাম জানান, আমিনুল ও জাহিদুল সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। সকালে অন্যান্য দিনের মতো তাদের রেখে অফিসে যান তিনি। কিন্তু দুপুরে বাসায় ফিরে দরজায় কলিং বেল চাপলেও কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও মামার মরদেহ মেঝে পড়ে থাকতে দেখেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হচ্ছে।