ফের সাংবাদিক হয়রানিতে শাহপরান থানার ওসি সাখাওয়াত
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ আবারও সাংবাদিক নির্যাতনের নজির স্থাপন করেছেন সিলেট শাহপরাণ থানার ওসি সাখাওয়াৎ হোসেন। একের পর এক সাংবাদিক নির্যাতনের পর এবার অনলাইন গণমাধ্যম ‘সিলেটের কণ্ঠ’র সম্পাদক জাবেদ আহমদকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে একটি নারী নির্যাতন মামলায় জড়িয়েছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল জনৈক খাদিজা আহমদ শাহপরাণ থানায় হাজির হয়ে তার স্বামী খালেদ আহমেদর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রি করেন। অভিযোগে খাদিজা জানান, তিনি কেনাকাটায় থাকা অবস্থায় স্বামী খালেদ আহমেদ তার দুই সন্তান ও তার নিজ পাসপোর্ট নিয়ে আমেরিকা চলে গেছেন বলে সন্দেহ পোষণ করেন।
খালেদ আহমদ সাংবাদিক জাবেদ আহমদের দুঃসম্পর্কের ভাই হন। এ সময় ওসি সাখাওয়াত সাংবাদিক জাবেদের সাথে যোগাযোগ করেন। মামলা শেষ করার শর্তে তিনি জাবেদের কাছে ঘুষ দাবি করেন।
সাংবাদিক জাবেদ ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওসি সাখাওয়াদের কু-পরামর্শে খাদিজা সিলেট মেট্টপলিটন (৩য়) আদালত ম্যাজিষ্ট্রেট আনোয়ারুল হকের আদালতে ১০৯/৩৪১/৩২৩/ ৩২৫/৩০৭/ ৩৮৬/৩৪ দণ্ড বিধিতে এজাহার দাখিল করেন। এজাহারে স্বামীর বিরুদ্ধে মারধর ও ৫ হাজার ডলার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন খাদিজা। তবে, আগের জিডি ও আদালতে অভিযোগের মধ্যে ব্যাপক গড়মিল দেখা যায়। আদালত শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ১০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর সাংবাদিক জাবেদের সাথে আবারও যোগাযোগ করেন ওসি সাখাওয়াত। জাবেদের কাছে মোট অংকের টাকা দাবী করেন। মামলার এবং জি.ডির নানা অসংগতি সাংবাদিক জাবেদের কাছে তুলে ধরেন।
সাংবাদিক জাবেদ জানান, ওসি সাখাওয়াত তাকে এই সময় জানান প্রথমতো জিডিতে আপনার নাম ছিল না। এজহারে নাম এসেছে। একই ঘটানার জিডি এবং এজহারে ব্যাপক গড়মিল রয়েছে। আপনি টাকা দিলে আমি এই মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করব। কিন্তু জাবেদ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তড়িগড়ি করে মামলার কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই মামলাটি এফআইআর করেন।
এ ব্যাপারে শাহপরাণ থানার ওসি সাখাওয়াত হুসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আদলতের নির্দেশেই মামলাটি রুজু করা হয়েছে।