শিশু সাফির অঙ্গহানির ঘটনা তদন্তে উইমেন্সে তদন্ত কমিটির পরিদর্শন

Womens Medical College Sylhetসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় সাংবাদিকপুত্রের অঙ্গহানির (আঙ্গুল কর্তন) ঘটনা তদন্তে আদালতের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তদন্ত কমিটির প্রধান সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশ প্রহরায় নয়াসড়কস্থ বাসভবনে যান। টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি ও বাংলাভিশনের ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবরের আসমা মঞ্জিলের বাসায় দরজা ও হেজবল্ট পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির অপর ২ সদস্য ওসমানী হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. ইশতিয়াক উল ফাত্তাহ ও সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জানে আলম। এর আগে মঙ্গলবার সকালে তদন্ত কমিটি ১৯২৬/৪ পত্রে বিষয়টি সাংবাদিক বদরুর রহমান বাবরকে অবগত করেন।
তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শণকালে উপস্থিত ছিলেন ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মুহিত জাবেদ, সিলেট টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক কামকামুর রাজ্জাক রুনু, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনে সভাপতি আনিস রহমান, সিলেটের ডাকের ডেপুটি চীফ রিপোর্টার মুহম্মদ তাজউদ্দিন, দৈনিক সকালের খবরের নিজস্ব প্রতিবেদক দিপু সিদ্দিকী, যুগান্তরের মামুন হাসান, মাইটিভির সিলেট প্রতিনিধি এম আর তালুকদার টুনু, এসএ টিভির শ্যামানন্দ পাল, মাইটিভির ক্যামেরাপার্সন শাহীন আহমদ, হলি সিলেট’র এসএম জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ১৮ জানুয়ারি টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বাংলাভিশনের সিলেট অফিসে ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবরের ৮ বছরের শিশুপুত্র সাফি দরজার হোজবেল্টে আঘাত পায়। দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাসার পার্শ্ববর্তী সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে আঙ্গুলে ‘গ্যাংগ্রিন’ হয়। পরবর্তীতে ঢাকা ও সিলেটের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাফির ডানহাতের তর্জনী কেটে ফেলা হয়।
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ ডাক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত বিশেষজ্ঞ তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক স্মারক নং-সিওমেকহা/মেঃ বোর্ড/২০১৫/১৩৩৭ স্মারকে ঘটনা তদেন্ত ৩ সদস্যের কমিটি করে দেন। কমিটি নির্ধারিত সময়ে তদন্ত কাজ শেষ না হওয়ায় আদালতে কাছে সময় প্রার্থনা করলে আদালত ২১ মে’র মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।