সিলেটে মৎস খামারের দখল নিতে দু’পক্ষ মুখোমুখি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নে একটি মৎস খামারের মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। শুক্রবার ভোর ৬ টা থেকে খামারের দখল নিতে বলাউরা ও আউশা গ্রামের লোকজন সশস্ত্র অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে র্যাব-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি মোগলগাঁও ইউনিয়নের ডিসকভারি নামের ওই ফিশারিজ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাসুল ইসলাম টুনু মিয়া এ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কয়েক বছর আগে প্রবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মিলে ডিসকভারি নামে একটি কোম্পানী গঠন করেন। গত দুই বছর ধরে কোম্পানীর মালিকানা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। ফলে দুই ভাগে ভাগ হয়ে পড়েন কোম্পানীর পরিচালকরা। কোম্পানীর উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে মোগলগাঁওয়ের বলাউড়া হাওরে গড়ে তোলা হয় ৫ শ একর আয়তনের ডিসকভারি ফিশারিজ নামের একটি মৎস খামার। এতে ১০ টি পুকুর রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মুরাদ আহমদ জানান, কোম্পানীর প্রতিষ্টা কালীন সময়ে খামারটি পরিচালনা করে আসছেন মুর্শেদ জিলু,ইমাদ উদ্দিন ও সামসু মিয়া। কোম্পানী শুরুর বছর খানের পর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। এ নিয়ে হয়ে ইমাদ উদ্দিন ও সামসু মিয়া মুলধন নিয়ে দাঁড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এই সুযোগে মুর্শেদ ও জিলু পরিচালক সংগ্রহ করে কোম্পানীর ভীত মজবুত করেন এবং ইমাদ উদ্দিন ও সমসু মিয়াকে কোম্পানীর স্বত্ব থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন। অপরদিকে, ইমাদ উদ্দিন ও সমসু মিয়া মুর্শেদগংদের আসামি করে মামলা দেন। অন্যদিকে জয়েন্ট স্টক এক্সেঞ্জে করা কোম্পানীর রেজিষ্ট্রেশনে ইমাদ উদ্দিন ও সামসু মিয়ার নাম থেকে যায়। ফলে তারা দু’জনে সম্পত্তি দখলে আনতে কোম্পানীর নতুন নতুন পরিচালক নিয়োগ দেন। শুক্রবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ওই মৎস খামারের দখল নিতে যায় তারা। এ নিয়ে উভয় পক্ষ বৃহস্পতিবার রাত থেকে বলাউরা ও আউশা গ্রামের লোকজন দুই পক্ষে অবস্থান নেয়।ুভয় পক্ষে ক্যাডার বাহিনী নিয়ে অবস্থান শক্তিশালী করতে থাকেন। এ অবসস্থায় এলাকার নিরীহ লোকজন আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছাড়তে থাকেন। খবর পেয়ে সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সিলেট এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গৌছুল আজম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সেই সাথে র্যাব সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ বলেন, বর্তমানে এলাকা অর্ধশতাধিক পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও রয়েছে। বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষ্যে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসার আহবান করা হয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ জানান, আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হবে। তিনি বলেন, রক্তক্ষয়ী সংঘাত এড়াতে বিষয়টি আপোষে মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত ডিসকোভারি মৎসখামার স্থানীয় মোগলগাও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে দেয়া হয়েছে।