ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা সনেটের সমকামিতা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়…

sonet_chhatroleageসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সমকামিতার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হল থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে বের করে দেয়া হয়েছে। তার নাম এস এম সনেট। তিনি এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই তাকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন। এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেইসবুকে এনিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
চলুন সেখান থেকে উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকটি স্ট্যাটাস শুনে নেই…
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজোয়ান হাসান নামে এক ছাত্র লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি ঢাবির কোন ছাত্রের পক্ষে এমন জঘন্য কাজ করা অসম্ভব। নিশ্চই সনেট ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এটা একটা পিউর পলিটিক্স!!!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র আমি টুটুল ফেইসবুকে লিখেছেন ভাই, কে ছাত্রলীগ করলো, আর কে ছাত্রদল করলো সেটা আমার দেখার বিষয় না। যদি এমন (কু….) ঢাবিতে থেকে থাকে তাহলে তার ওইটা (?) কেটে দেয়া উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সত্যবাদী ফয়সাল লিখেছেন ওকে শুধু হল থেকে বের করলেই হবে না, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম খেয়ে ফেলেছে… তার ওইটা (?) পশুকে দিয়ে খাওয়াইয়া দাও…
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র শরিফুল হাসান লিখেছেন, সনেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজ্জত খাইয়া ফালাইসে…. আমাদের মাথা নিচু করে দিয়েছে। ওর মাথা ন্যাড়া করে ক্যাম্পাসে ঘুরানো উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র নাজমুস সাকিব লিখেছেন অবশ্যই এঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। সনেট ভিকটিমও হতে পারেন। বিশ্বাস করিনা ঢাবি ছাত্ররা এমন হতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র মুজিব সৈনিক শুভ লিখেছেন আমাদের শ্রদ্ধেও বড় ভাই সোহাগ ভাই ও নাজমুল ভাইকে বলবো এমন কুলাঙ্গারকে আমাদের প্রিয় সংগঠন থেকে অবিলম্বে বহিস্কার করুন। আমরা মুখ দেখাতে পারছি না….
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র প্রদীপ চন্দ্র লিখেছেন, সনেটকে বের করে দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে…!!! শতাব্দির সেরা মানবাধিকার লঙ্ঘন এটা!!! তার মানবাধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক। আর আমাদের কেউ মাইরালা.. ঢাবিতে থাকুমনা… এখানে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই…!!!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র সাহসী তানভীর লিখেছেন, ছি ছি ছি!!! সনেটকে নিয়ে কোন কিছু লিখতেও ঘৃণা হচ্ছে। তবুও বলবো এমন ছাত্রকে যেখানেই পাবে সেখানেই ন্যাড়ি কুত্তার মতো পেটাবে। না পারলে আমার কাছে নিয়ে আসে সাইজ করে দিবানে…
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খাদেমুল ইসলাম লিখেছেন, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি…
প্রশ্ন হলো তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অনেক আগে পাওয়া গিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে তার বিরুদ্ধে আগেই কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার মানে কি। নিশ্চই এর ভেতরে কোন কিন্তু রয়েছে। তদন্ত হওয়া উচিত। সত্যকে সত্য বলুন, মিথ্যাকে মিথ্যা…
ঢাকা কলেজের ছাত্র ইনোসেন্ট রুমি লিখেছেন, এমন কুলাঙ্গার কেবল ঢাবিতেই তৈরি হতে পারে। এমন ক্যাম্পাসের জন্য এটা কিছু না। সনেটের মত এমন অনেক সমকামি আছে ঢাবিতে। তাদেরও খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এদের কোন স্থান নেই। এদের স্থান জাহান্নামে::
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিশ্রমী জনি লিখেছেন, এটা ঢাবির জন্য কোন ঘটনা না। ওরা লিভ টুগেদার করে, ওরা পর্নো ছবি তৈরি করে, ওরা ইয়াবার ব্যবসা করে, ওরা পতিতাবৃত্তি করে… আর সমকামিতাতো কোন ব্যাপারই না…
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন। খবরটা পড়েছি আর হেসেছি। ব্যাপক বিনোদন পেয়েছি। কয়েকদিন পরে শোনা যাবে ঢাবিতে সমকামিতা বৈধ বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে……….
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাজেদুল ইসলাম লিখেছেন, সত্যিই অবাক হলাম!! বাংলাদেশেও এমন বীজ ছড়াচ্ছে দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। রাবির মাটিতে এমন বীজের অঙ্কুরোধগম যেন না হয়। আগেই মাইরা ফালানো উচিত…
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রক্তিম বুলবুল লিখেছেন, এদেরকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়া উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজ্জত খাইছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজ্জত পানিতে চুবাইসে। জিনিসটা থেতলে দেয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন আরো অনেক নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। সবকিছু তুলে ধরা গেলো না। কারণ কিছু কিছু স্ট্যাটাসে এতো অস্রাব্য ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যা প্রকাশ করার যোগ্য নয়।
[সূত্র: ফেইসবুক]