বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের গুলিতে শ্রমিক নেতা নিহত : গুলিবিদ্ধ সহ আহত ২০
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিয়ানীবাজারে শ্রমিকদের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনায় এক শ্রমিক নেতা নিহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০/১২ জন। শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের দক্ষিণবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সবজি ব্যবসায়ী নিজু মিয়া (১৮) উপজেলার কসবা গ্রামের সেবুল মিয়ার ছেলে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন-শ্রমিক নেতা সোয়াবুর রহমান (৪০), ফয়সাল আহমেদ (৩৫), নুরুল হক (৫০), বিমল চন্দ্র (৩২), রিপন আহমেদ (২৯) ও তারেক আহমেদ (২৪)। তাদের এমএজি ওসমানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌর শহরের সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড নিয়ে শ্রমিকদের দু’গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার রাতে এ নিয়ে দক্ষিণবাজার এলাকায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মধ্যস্থতা করেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জামাল আহমেদ। বৈঠকে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিয়ানীজার উপজেলা সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের সভাপতি শামীম আহমদ মারা যান। শামীম মারা যাওয়ার পর থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক জামাল হোসেন ওই স্ট্যান্ডের দখলের পায়তারা শুরু করেন। কিন্তু সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকরা এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না।
এনিয়ে শুক্রবার রাতে বিয়ানীবাজার ট্রাক শ্রমিক ও সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক নেতারা তাদের কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতা জামাল হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অটোরিকশা কার্যালয়ে আসলে সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীলা গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে নিজুসহ ৮ জন গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে নিজু মারা যান। আর আবুল কালাম মারা যান ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ও গুলাগুলি চলে।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা নিজু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গুলিবিদ্ধদের এমএজি ওসমানি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে শ্রমিক নেতা আবুল কালামের মৃত্যু হয়। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়ের আহমদ এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, রাত ২টার দিকে ওসি জানান, পৌর এলাকার আশপাশে অভিযান চালিয়ে শাহজাহান মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।