সিলেটে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরকারীকে ‘মানসিক রোগী’, দাবি করল পুলিশ

DSC_8950-copy-520x350-1ডেস্ক রিপোর্টঃ নগরীর চালিবন্দরে ভৈরব মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরকারের দায়ে গ্রেফতারকৃত খলিল আহমদ ‘মানসিক রোগী বলে দাবি করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে প্রতিমা ভাংচুরের পর স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে খলিলকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন খলিল পাগলের মতো কথা বলছে। তাকে মানসিক রোগী বলে মনে হচ্ছে। সে আসলেই মানসিক রোগী কী না তা নিশ্চিত হতে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে।
ওসি জানান, প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় ভৈরব মন্দির কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার কতোয়ালি থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় খলিক আহমদকে আসামী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার খলিলকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলেও জানান তিনি।
তবে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত গণমাধ্যমকে বলেন, খলিলকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন একজন ভারসাম্যহীনের কথায় ৩/৪ জন লোক প্রতিমা ভাংচুর করতে আসতো না। তাছাড়া ঘটনার সময়ে মন্দিরের বাতি নিভিয়ে ফেললে প্রতিমা ভাংচুর করা সহজ হবে এমন চিন্তা করা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির দ্বারা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
এদিকে, মূর্তি ভাংচুরের প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড পূজা উদযাপন পরিষদ এবং ভৈরবতলা মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকালে চালিবন্দরস্থ ভৈরব মন্দিরের সম্মুখে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৮ টায় নগরীর চালিবন্দরে ভৈরব মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে ৪ /৫ জন যুবক। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা একজনকে আটক করেছে। আটককৃত খলিল আহমদ নগরীর ছড়ারপার এলাকার ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার নজরুল ইসলাম মুনিমের ভাড়াটিয়া। গত রবিবার সকালে এই মন্দিরের ৫তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মানের ভিত্তিপ্রস্থের স্থাপন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।